হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে ফেব্রুয়ারির যেকোনো দিন : প্রতিমন্ত্রী

 





করোনাভাইরাস সংক্রমণ হ্রাসে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ফেব্রুয়ারি মাসের যেকোনো দিন খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।


মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির যেকোনো দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেব আমরা। এ বিষয়ে সরকারের নির্দশনা মেনে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দশনা অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করব।’


প্রতিমন্ত্রী আরেক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে (বিদ্যালয়) খুলে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছি।’


‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে এবং একটি গাইডলাইন অনুসরণ করতে বলা হয়েছে,’ বলেন জাকির হোসেন।


প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যালয় খুলে দিয়ে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে পালা করে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা চালু করা হবে। এ ক্ষেত্রে সপ্তাহে দুই-এক দিন পঞ্চম শ্রেণী এবং এভাবে পর্যায়ক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পাঠদান হবে। আর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্লাস নেয়া হবে সপ্তাহে এক দিন করে।


বেসরকারি ও কিন্ডার গার্টেন স্কুল খোলার বিষয়ে কী নির্দশনা থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি ও কিন্ডার গার্টেন স্কুল নিয়ে কিছু জানি না। কিন্ডার গার্টেন আমাদের কাছ থেকে কোনো নিবন্ধন নেয় না। তাই তাদের বিষয় কোনো দায়িত্ব আমাদের নেই।’


করোনার টিকা বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সকল শিক্ষক ও কর্মচারীকে টিকার আওতায় আনতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। আর যেহেতু ১৮ বছরে নিচেদের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্তে নেই সেহেতু শিক্ষার্থীরা তা পাবে না।’


গত ১৫ জানুয়ারি সরকারি এক সিদ্ধান্তে মহামারি করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। এর আগে, ভাইরাসের বিস্তার রোধে কয়েক ধাপে বাড়তে থাকা ছুটি ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল।


গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হবার পর ১৭ মার্চ স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে অনলাইনে ক্লাস চলছে।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটির পাশাপাশি গত বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনী ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।


সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুরা যাতে আবার তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসতে পারে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু করতে পারে সে জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে।


সূত্র : ইউএনবি


মন্তব্যসমূহ