গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

লেবানন থেকে ঢাকায় ফিরছেন ৫৪ বাংলাদেশি

 




লেবানন থেকে  প্রথম দফায় ফেরত আসছেন ৫৪ জন বাংলাদেশি প্রবাসী। রোববার (২০ অক্টোবর) বৈরুত থেকে তারা রওয়ানা দেবেন।


সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এসব বাংলাদেশি বিমানযোগে দেশে পৌঁছাবেন।

বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, ৫৪ জন প্রবাসী  বাংলাদেশি রোববার রাত ১১টার দিকে বিমানযোগে জেদ্দার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন। সোমবার সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছাবেন।


পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, লেবাননে অবস্থানরত বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার থেকে এক লাখ। এর মধ্যে এক হাজার ৮০০ জনের মতো দেশে ফেরত আসার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাদের মধ্যে ১৬৭ জনের লিগ্যাল ডকুমেন্টস আছে, বাকি ১ হাজার ৬২৩ জন আনডকুমেন্টেড। আইওএম ২০০ জনকে চার্টার্ড ফ্লাইটে ফেরত আনার জন্য কাজ করছে। অন্যদের জন্য সরকার ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছে, প্রতিদিন প্রায় ৫০ জনের মতো আসতে পারবেন। আগামী ২২ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় ৫৮ জন ঢাকায় আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।


প্রসঙ্গত, লেবাননে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আতঙ্কে রয়েছেন।  অনেকেই  আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। এসব প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে প্রথম দফায় ফিরছেন ৫৪ জন বাংলাদেশি।

মন্তব্যসমূহ