জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

লেবানন থেকে ঢাকায় ফিরছেন ৫৪ বাংলাদেশি

 




লেবানন থেকে  প্রথম দফায় ফেরত আসছেন ৫৪ জন বাংলাদেশি প্রবাসী। রোববার (২০ অক্টোবর) বৈরুত থেকে তারা রওয়ানা দেবেন।


সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এসব বাংলাদেশি বিমানযোগে দেশে পৌঁছাবেন।

বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, ৫৪ জন প্রবাসী  বাংলাদেশি রোববার রাত ১১টার দিকে বিমানযোগে জেদ্দার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন। সোমবার সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছাবেন।


পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, লেবাননে অবস্থানরত বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার থেকে এক লাখ। এর মধ্যে এক হাজার ৮০০ জনের মতো দেশে ফেরত আসার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাদের মধ্যে ১৬৭ জনের লিগ্যাল ডকুমেন্টস আছে, বাকি ১ হাজার ৬২৩ জন আনডকুমেন্টেড। আইওএম ২০০ জনকে চার্টার্ড ফ্লাইটে ফেরত আনার জন্য কাজ করছে। অন্যদের জন্য সরকার ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছে, প্রতিদিন প্রায় ৫০ জনের মতো আসতে পারবেন। আগামী ২২ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় ৫৮ জন ঢাকায় আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।


প্রসঙ্গত, লেবাননে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আতঙ্কে রয়েছেন।  অনেকেই  আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। এসব প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে প্রথম দফায় ফিরছেন ৫৪ জন বাংলাদেশি।

মন্তব্যসমূহ