হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

বাসা ভাড়া দিতে দেরি হওয়ায় ভাড়াটিয়াকে গণধর্ষণ



সাভারের আশুলিয়ায় বাসা ভাড়া দিতে দেরি হওয়ায় স্বামীকে আটকে রেখে এক পোশাককর্মীকে (২৪) গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক মো. কালামকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়ার পশ্চিম জামগড়া এলাকার ফকিরবাড়ি থেকে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক মো. কালামকে আটক করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে (১৪ জানুয়ারি) কালামের বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আটক মো. কালাম (৪৫) আশুলিয়ার পশ্চিম জামগড়া এলাকার বাসিন্দা।

নির্যাতিত নারীর অভিযোগ, পশ্চিম জামগড়া এলাকায় মো. কালামের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থেকে পোশাক কারাখানায় কাজ করেন ওই নারী। মঙ্গলবার রাতে পরিবহন চালক স্বামী ও তিনি নিজ কক্ষেই ছিলেন। রাত ১২টার দিকে বাড়ির মালিক কালাম তার পাঁচ সঙ্গী নিয়ে ডিসেম্বর মাসের দুই হাজার টাকা ভাড়ার জন্য তাদের কক্ষে আসেন।

এ সময় কারখানায় তাদের বেতন পরিশোধ করা হয়নি বলে বাড়ির মালিককে জানান তিনি। কিন্তু বাড়ির মালিক কালামের সহযোগী দুজন ওই নারীর স্বামীকে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন। এরপর ওই নারীর স্বর্ণের চেইন, চুড়ি, কানের দুল ও নাকফুল খুলে নেন তারা। এরপর তিনজন তার হাত-পা চেপে ধরে এবং বাড়ির মালিক ধর্ষণ করে। বাকি তিনজন ভোর ৪টা পর্যন্ত তাকে গণধর্ষণ করে। সকালে আশুলিয়া থানায় এসে অভিযোগ করেন ওই নারী।

অভিযোগ পাওয়ার পর আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা ঘটনাস্থল গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত বাড়ির মালিক মো. কালামকে আটক করেন। অন্য অভিযুক্তদের এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা বলেন, ওই নারী শ্রমিকের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই বাড়ির মালিক কালামকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় গণধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

মন্তব্যসমূহ