হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

তৃতীয় দফায় শাহজালাল বিমানবন্দরে আরও একটি বোমা উদ্ধার

 




ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিলিন্ডার সদৃশ আরও একটি বোমা পাওয়া গেছে।  বোমাটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করার জন্য টাঙ্গাইলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।


শনিবার বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল থেকে বোমাটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে তিনটি বোমা উদ্ধার করা হল। আরও বোমা আছে বলে আশঙ্কা করছেন বিমান বাহিনীর বিশেষজ্ঞরা।


গত ৯ ডিসেম্বর প্রথম বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল থেকে সিলিন্ডার সদৃশ বোমা উদ্ধার করা হয়। মাটি খোঁড়ার সময় ২৫০ কেজি ওজনের এই সিলিন্ডার সদৃশ বোমাটি উদ্ধার করা হয়। টার্মিনাল নির্মাণ কাজের পাইলিংয়ের সময় শ্রমিকরা মাটির প্রায় ৩ মিটার গভীরে সিলিন্ডারের মতো বোমা দেখতে পায়। বোমাটি টাঙ্গাইলের মধুপুর বনের টেলকি বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (ফায়ারিং রেঞ্জ) ক্যাম্পাসে নিষ্ক্রিয় করা হয়।


পরে ১৫ ডিসেম্বর বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে আবার ২৫০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা পাওয়া যায়। বিমানবন্দরে তৃতীয় পাইলিংয়ের কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকরা ১০ ফুট মাটির নিচে সিলিন্ডারসদৃশ্য বোমাটির সন্ধান পান। খবর পেয়ে বিমানবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সেটি নিষ্ক্রিয় করে বিস্ফোরণ ঘটাতে ওই দিনই বিকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর বনের টেলকি বিমানবাহিনীর ফায়ারিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যায়।  পরদিন সকালে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে মধুপুর বনের এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

মন্তব্যসমূহ