হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

করোনায় ইতালিতে প্রথম বাংলাদেশির মৃত্যু



মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসে ইতালির মিলানে  ৬০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এটি ইতালিতে এই রোগে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

নিহতের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। তিনি মিলান শহরে বিজুত্তেরিয়ার ব্যবসায়ী ছিলেন। প্রায় দু’সপ্তাহ স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার গভীর রাতে মারা যান।

জানা গেছে, ওই ব্যবসায়ী ইতালির মিলান ট্রেন স্টেশন সংলগ্ন ভিয়া সেত্তেমব্রে এলাকায় পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন।এখানেই তিনি দীর্ঘদিন বিজুত্তেরিয়ার (সিলভার, এমিটি সোনার গহনা) ব্যবসা করতেন। দু’সপ্তাহ আগে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যান। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে স্থানীয় নিগুয়ারদা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে মারা যান তিনি।

মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। গেল  ২৪ ঘন্টায় ৬২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ৩২ জনে। এছাড়াও কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯৮৬ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ২১ জন।

ইউরোপের দেশটিতে এখনও ৩৭ হাজার ৮৬০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে অন্তত ২ হাজার ৬৫৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ১২৯ জন।

এদিকে, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিয়ে গিয়ে ইতালিতে এখন পর্যন্ত ১৩ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।


প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই রোগে সারাবিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৫৬ হাজার ৮০২ এবং মারা গেছেন ১০ হাজার ৫৪০ জন। শুধুমাত্র চীনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৯৬৭ এবং মারা গেছেন তিন হাজার ২৪৮ জন।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় নভেল করোনাভাইরাস। এরপর এই ভাইরাসে বিশ্বের ১৭৩ টি দেশ ও অঞ্চলে হানা দিয়েছে।  এ পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ৩ হাজার ২৪৮ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৯৬৭ জন।

চীনে মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পায় দুই মাস পর গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইতালিতে হানা দেয়। এরপর মাত্র একমাসের মধ্যেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে দেশটি।

মন্তব্যসমূহ