হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সংসদে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারদের প্লট-সম্মানী দেয়ার দাবি



অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে যথাযথ সম্মানী, শিক্ষার ব্যয়ভার বহন এবং প্লট দেয়ার দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে। পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা। সোমবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও গণফোরামের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ এসব দাবি জানান।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলার সুযোগ নিয়ে এ আলোচনার সূত্রপাত করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। পরে গণফোরামের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর এই আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় অধিবেশনে উপস্থিত সংসদ সদস্যরা তাদের বক্তব্যকে টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান।

আলোচনায় মুজিবুল হক বলেন,‘বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সারাদেশের মানুষ আনন্দিত। যুব বিশ্বকাপে আমাদের ছেলেগুলো পরিশ্রম করে যে দৃষ্টান্ত রেখেছে তাতে দুনিয়ার মানুষ আমাদের চিনতে পারছে। এ ছেলেরা ঢাকা আসার পর বাংলাদেশের মানুষ প্রকাশ্যে গণসংবর্ধনা দেয়ার পক্ষে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তাদের যথোপযুক্ত সন্মানী দিয়ে যেন সম্মানিত করা হয়, সেটাও সকলে চায়।’

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন,‘যুব বিশ্বকাপে আকবর বাহিনীর বিজয়ের মাধ্যমে ৪৯ বছরের আগের সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেভাবে পরিচিত ছিলাম সেভাবে পরিচিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাঙালিরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, বাঙালিরা এগিয়ে যাবে, বাঙালিরা কখনো মাথা নত করবে না।’

তিনি আরো বলেন,‘আমরা প্রমাণ করেছি, এ উপমহাদেশে বাংলাদেশ হচ্ছে অগ্রগামী দেশ। বাংলাদেশ যেভাবে এবার বিশ্বকাপ জয় করেছে, তেমনি ১৯৯৭ সালে আইসিসিতে জয়লাভ করেছিলাম। আকবর বাহিনীকে সংবর্ধনা জানানো হোক। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা যেভাবে সম্মান বয়ে এনেছে, তাই তাদের শিক্ষাজীবনের যাবতীয় খরচ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নির্বাহ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

এছাড়া সুন্দর জীবন যাপনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্লটসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মন্তব্যসমূহ