হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

কুমিল্লা ও মৌলভীবাজারে 'জঙ্গি বিরোধী' অভিযান শুরু

বাংলাদেশের মৌলভীবাজার এবং কুমিল্লায় সন্দেহভাজন দুটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
গত দু'দিন ধরে এ বাড়ি দুটো ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, অভিযান পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তার বাহিনীর সদস্য আগেই সেখান অবস্থান নিয়েছিলেন।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের আওতাভূক্ত কোটবাড়ি এলাকায় গত বুধবার এ বাড়িটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। কিন্তু বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থাকায় নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে অভিযান চালায় নি নিরাপত্তা বাহিনী।
সে বাড়িতে সন্দেহভাজন একজন জঙ্গি আছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। অভিযানের আগে সে বাড়ির আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়।
এ বাড়িটির আশপাশে আধা কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত মানুষ এবং যানবাহনের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট এলাকায় আরেকটি বাড়িতেও অভিযান শুরু করেছে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাড়িটিতে একাধিক 'জঙ্গি' আছে বলে তাদের ধারণা।
সকাল দশটা থেকে সেখানে গুলির শব্দ শোনা যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা ।
গতকাল মৌলভীবাজারের নাসিরপুর এলাকায় আরেকটি বাড়িতে সন্দেহভাজন ৭/৮ জঙ্গি নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, নাসিরপুরের সে বাড়িটিতে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা বিস্ফোরণের মাধ্যমে 'আত্নহনন' করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট এলাকার যে বাড়িটিতে শুক্রবার সকালে অভিযান শুরু হয়েছে, সে বাড়িটির সূত্র ধরেই নাসিরপুরের বাড়িটিতে অভিযান চালানো হয়।
বৃহস্পতিবার নিহতদের সাথে বড়হাট এলাকার বাড়িতে অবস্থানরত সন্দেহভাজন জঙ্গিদের যোগসূত্র থাকতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ