হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সন্তানের জন্য রিকশা চালান যে মা


সন্তানদের ক্ষুধার্ত রাখতে চান না তিনি, চান ভালো স্কুলে তাদের পড়াতে৷ আর তাই বেছে নিয়েছেন রিকশা চালকের পেশা৷ চট্টগ্রামের মোসামাদ জেসমিন মুসলিম প্রধান দেশে স্থাপন করেছেন এক ভিন্ন দৃষ্টান্ত৷

নারীবাদীদের কাছে এক দৃষ্টান্ত হতে পারেন জেসমিন৷ পুরুষশাসিত সমাজে তিনি বেছে নিয়েছেন এমন এক পেশা, যা মূলত পুরুষের কাজ হিসেবেই বিবেচিত৷ রিকশায় চালকের আসনে মেয়েদের সচরাচর দেখা যায় না বাংলাদেশে৷ জেসমিন তাই ব্যতিক্রম৷ জীবন চালাতে রিকশাকে বেছে নিয়েছেন তিনি৷

তার কথায়, ‘আল্লাহ আমাকে একজোড়া হাত এবং একজোড়া পা দিয়েছেন৷ আমি ভিক্ষা করিনা - তারচেয়ে তার দেয়া উপহার কাজে লাগিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি৷’


পাঁচ বছর আগে রিকশা চালানো শুরু করেন জেসমিন৷ তার এক প্রতিবেশী তাকে কয়েকদিন রিকশা চালানোর আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা গ্রহণ করেন৷ জেসমিন বলেন, ‘শুধু নিজের কথা ভাবলে পরের বাড়িতে দাসী হতে সমস্যা ছিল না৷ কিন্তু সন্তান থাকলে সেটা সম্ভব নয়৷ আর ফ্যাক্টরির কাজ অনেক কঠিন এবং পয়সা অনেক কম৷’

সবকিছু বিবেচনা করে শেষমেশ রিকশা চালানোকেই পেশা হিসেবে নেন চট্টগ্রামের এই নারী৷ তবে শুরুটা সহজ ছিল না৷ সমাজ থেকে বাধা এসেছিল৷ ‘আমি নারী বলে কেউ কেউ আমার রিকশায় উঠতে অস্বীকার করেছে৷ কেউ কেউ মনে করতেন, আমি যেভাবে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করি ইসলামে তা করা বারণ৷ কেউ কেউ আবার আমি নারী বলে আমাকে ভাড়া কম দেয়,’ বলেন তিন সন্তানের মা জেসমিন৷

স্থানীয়রা জেসমিনের নাম দিয়েছে ‘পাগলি খালা৷’ এখনো সুযোগ পেলে কেউ কেউ তাকে চটানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু সেসব গায়ে মাখেন না জেসমিন৷ বরং রিকশা চালান সচেতনভাবেই৷ স্থানীয় এক ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছেন, রাস্তায় নিয়মকানুন মেনেই রিকশা চালান জেসমিন৷ এমনকি হেলমেটও পরেন, যা অন্য রিকশাওয়ালারা সচরাচর পরেন না৷

চট্টগ্রামে জেসমিনের এলাকার মসজিদের ইমামও তার কাজের প্রশংসা করেছেন৷ নুরুল আলম আজমিরি বলেন, ‘তিনি আমাদের সমাজে একটি ভালো উদাহরণ, কেননা, অনেক ক্ষেত্রে কঠিন সময়ে মেয়েরা পতিতাবৃত্তি বা মাদক বেচার মতো কাজে জড়িয়ে পড়েন৷ সেক্ষেত্রে তিনি যা করছেন তা প্রশংসার যোগ্য৷ তাছাড়া সন্তানের উন্নতির কথাও ভাবছেন তিনি৷’

গত বছর জেসমিনের রিকশায় পরিবর্তন এসেছে৷ এখন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালান তিনি৷ গড়ে দৈনিক রোজগার আটশো টাকার মতো৷ আট ঘণ্টা কাজ করলে এমন আয় করতে পারেন তিনি৷ এ থেকে রিকশার দৈনিক ভাড়া মিটিয়ে বাকিটা তার নিজেরই থাকে৷

সূত্র: ডিডব্লিউ

মন্তব্যসমূহ