হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

৫০ পুরুষের সঙ্গে মডেলের যৌনতার ফাঁদ, হাতিয়েছেন ৪৬ লাখ টাকা

 


চক্রের মূল হোতা 


ভারতের মুম্বাইয়ের এক মডেলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অন্তত ৫০ জন পুরুষকে ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৬ লাখের বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্ণাটক পুলিশ সম্প্রতি এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে। ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি পুলিশি অভিযোগ করার পরেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে।


ভুক্তভোগী ব্যক্তি তার পুলিশি অভিযোগে জানান, ওই মডলের নাম নেহা আলিয়াস মেহের। বার্তা আদান প্রদানের মাধ্যম টেলিগ্রামে তাদের প্রথম যোগাযোগ হয়। এরপর তারা হোয়াটস অ্যাপে কথা বলা শুরু করেন।


ওই মডেল ভুক্তভোগীকে জানান, তার স্বামী দুবাইতে কাজ করে এবং তিনি শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন। নেহা তার অন্তরঙ্গ ছবি ও বাসার ঠিকানা পাঠায়।


ভুক্তভোগী ব্যক্তি গত ৩ মার্চ বিকেল ৩ টা ৩০ মিনিটে নেহার বাসায় যায়। তিনি দাবি করেছেন, সেইসময় তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তি নেহার বেডরুমে আসে এবং তাকে বিভিন্ন জেরা করতে থাকে এবং এরপর নির্যাতন শুরু করে।


এরপর ওই তিন ব্যক্তি তাকে রাস্তায় নগ্ন করে ঘোরানো হবে বলে হুমকি দেয়। তারা তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা দাবি করে। এরপর প্রথমে তিনি ২১ হাজার রুপি তাদের দেন।


ভুক্তভোগী ব্যক্তি পুলিশকে বলেন, সেদিন তাকে রাত ৮ টা পর্যন্ত আটকে রাখা হয় এবং আরও আড়াই লাখ রুপি ক্রেডিড কার্ড দিয়ে দিতে বলা হয়। তবে তিনি সেইসময় তাদের বলেন, তার ক্রেডিট কার্ড বাসায় আছে এবং এরপর অভিযুক্তদের নিয়ে ক্রেডিট নিতে এলে তিনি পালাতে সক্ষম হন। এরপরেই পুলিশের কাছে এসে সব বলেন এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করে।


তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, যৌনতার ফাঁদ পেতে অন্তত ৫০ জন পুরুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এ চক্র। তারা ৪৬ লাখের বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।


ইতিমধ্যে চক্রের তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ধরা পড়েছেন নেহাও। এ নিয়ে আরও তদন্ত চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ