শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

পেরুর স্বর্ণ খনিতে আগুনে নিহত ২৭

 




পেরুর স্বর্ণের খনিতে আগুন লেগে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল আরেকুইপার একটি ছোট খনিতে এ ঘটনা ঘটে। এটি কয়েক দশকের মধ্যে দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ খনি দুর্ঘটনা। খবর বিবিসির।


খনি কোম্পানি ইয়ানাকুইহুয়া জানায়, ১৭৫ জন খনি শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানান, যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তখন খনি শ্রমিকরা ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১০০ মিটার নিচে কাজ করছিলেন।


স্থানীয় গণমাধ্যমের ছবিতে পাহাড়ের দিক থেকে আগুনের শিখা ও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। পেরুর সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট আরপিপি.পিই’র তথ্যমতে, লা এস্পেরানজা সোনার খনির কাঠের টানেলের মধ্যে আগুন জ্বলে উঠেছিল, সেখানে অনেকাংশ তেলে ভেজা ছিল।


এ ঘটনায় জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে জানিয়ে ইয়ানাকুইহুয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, এই অত্যন্ত দুঃখজনক সময়ে আমরা শোকাহত এবং উদ্ধারকৃত খনি শ্রমিকদের সহায়তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।


আঞ্চলিক সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিকটতম পুলিশ স্টেশন যেতে প্রায় ৯০ মিনিট এবং নিকটতম শহরে যেতে কয়েক ঘণ্টা লাগে। এতে জরুরি সহায়তা প্রক্রিয়া জটিল জয়েছে।


পেরুর সংবাদপত্র লা রিপাবলিকার খবরে বলা হয়, রোববার সকালে নিখোঁজ খনি শ্রমিকদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন, কিন্তু তাদেরকে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।


পেরু বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম স্বর্ণ উৎপাদক। দেশটি বছরে ১০০ টনের বেশি সোনা উৎপাদন করে, যা সারা বিশ্বের বার্ষিক সরবরাহের প্রায় ৪ শতাংশ।


যদিও শনিবারের অগ্নিকাণ্ডকে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে, তবে দেশটির খনি শিল্পে বছরে কয়েক ডজন প্রাণহানির ঘটনা অস্বাভাবিক নয়।

মন্তব্যসমূহ