হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আর নেই

 




সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার ১২টা ৪৯ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতোলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।


দুপুরে হাসপাতালের সিনিয়র এক্সিকিউটি সাজ্জাদুর রহমান শুভ এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানান।


সাজ্জাদুর রহমান শুভ বলেন, ‘মাহবুব তালুকদারকে দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দুপুর ১২টা ৪৯ মিনিটে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সে সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, তিনি আরও অনেক আগেই মারা গেছেন। অর্থাৎ, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান।’


মাহবুব তালুকদারের মেয়ে আইরিন মাহবুব বলেন, ‘বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর তাঁকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। বাবা দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।’


জানা গেছে, মাহবুব তালুকদারের তিন সন্তান। তাঁর বড় মেয়ে ডা. আইরিন মাহবুব বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকেন। বাকি দুই সন্তানের একজন কানাডায় ও একজন আমেরিকায় থাকেন।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সহকারী প্রেসসচিব ছিলেন। ১৯৯৯ সালে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে তিনি অবসরে যান।


২০১৭-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি মাহবুব তালুকদার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত ইস্যুতে তিনি নানা সময়ে নানা ধরনের মন্তব্য করে সব সময় আলোচনা-সমালোচনায় থাকতেন।

মন্তব্যসমূহ