হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্টের বাড়িও জ্বালিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা

 




সংঘর্ষে উত্তাল শ্রীলঙ্কা। সোমবার (৯ মে) সকালে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজাপাকসের পরিবারের সমর্থকেরা বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলম্বোয় প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বাইরে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর তাণ্ডব চালায় সরকারপন্থী সমর্থকরা। 


এরপর সন্ধ্যার দিকে এর পাল্টা জবাব দেয় বিক্ষোভকারীরা। তারা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ও তার ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসের পিতামাতার জন্য নির্মিত স্মৃতিসৌধ ধ্বংস করে দিয়েছে। হামবানটোটায় তাদের পারিবারিক বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। এটি কলম্বো থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে। 


এছাড়া তিন সাবেক মন্ত্রী ও দুই সংসদ সদস্যের বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।


খবরে বলা হয়েছে, মাউন্ট লাভিনিয়া এলাকায় সাবেক মন্ত্রী জনস্টন ফেরনান্দোর আবাসিক ভবন ও বর্তমান এমপি সনাথ নিশানথার বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এরপর তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। ভিডিওতে, জ্বলন্ত ঘর থেকে আগুনের শিখা উঠতে দেখা গেছে।


এছাড়া দেশটির কর্মকর্তারা বলেন, কলম্বোর কাছের নিত্তামবুয়া এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সামনে পড়েন এমপি অমরাকীর্থি আথুকোরালা। আন্দোলনকারীরা গাড়িটি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি গুলিবর্ষণ করেন। এতে দুই জন গুরুতর আহত হলে এক পর্যায়ে সংলগ্ন একটি ভবনে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। পরে সেখানেই তার মরদেহের সন্ধান মেলে।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও জল ক্যানন নিক্ষেপ করে। এরপর কলম্বোজুড়ে কারফিউ জারি করে। পরবর্তীতে তা দেশজুড়ে জারি করা হয়। 


প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া বলেছেন, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৭ টা পর্যন্ত কারফিউ চলবে।

মন্তব্যসমূহ