শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

ব্রাজিলে বন্যা-ভূমিধসে ১৯ জনের প্রাণহানি

 




ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ব্রাজিলের সবচেয়ে জনবহুল সাউ পাউলো রাজ্যে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৫০ হাজার পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

 

রোববার দেশটির জননিরাপত্তা কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও রয়টার্সের।


সাউ পাউলোর গভর্নর জোয়াও ডোরিয়া রোববার বন্যাকবলিত অঞ্চল আকাশপথে পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, আক্রান্ত শহরগুলোতে জরুরি ত্রাণ কাজ চালাতে দেড় কোটি স্থানীয় মুদ্রা বরাদ্দ করা হয়েছে।


বৃহত্তর সাউ পাউলো এলাকা ঘিরে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে আরুজা, ফ্রান্সিসকো মোরাতো, এমবু দাস আর্তেস ও ফ্রাঙ্কো ডা রোচা। ঝড়ের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভার্জিয়া পাউলিস্তা, ক্যাম্পো লিম্পো পাউলিস্তা, জাউ, কাপিভারি, মোন্তেমোর ও রাফার্ড এলাকা।

ডিসেম্বর থেকে ভারি বৃষ্টিপাতে উত্তরপূর্ব ব্রাজিলে প্রাণঘাতী বন্যা দেখা দেয়। এতে মধ্যপশ্চিম এলাকার ফসল তোলা বিলম্বিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টিপাতের কারণে মিনাস জেরাইস রাজ্যে খনি কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয়েছে।


সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— এই বন্যায় প্রায় ৫০ হাজার পরিবার তাদের ঘরবাড়িছাড়া হয়েছে এবং অনেক সড়ক-মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হযেছে। এই দুর্যোগের কারণে সাউ পাউলোতে করোনা টিকা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ