হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরে আকস্মিক বন্যায় অর্ধশতাধিক নিহত

 




ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরে প্রবল বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে গতকাল রোববার পর্যন্ত অর্ধশত ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়ায় নিখোঁজ রয়েছে আরও পাঁচজন। জাভা সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এ দুর্যোগ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তর। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।


শনিবার মধ্যরাতের পর থেকে শুরু হয় তাণ্ডব। ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপ ফ্লোরেসে বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের কবলে পড়ে। রোববার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবির মুখপাত্র রাদিত্য জাতি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।


উদ্ধার কার্যক্রম এখনও চলছে এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন রাদিত্য জাতি। চারটি উপজেলা এবং সাতটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।


বিএনপিবি মুখপাত্র রাদিত্য জাতি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা ৪১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।’


এদিকে, ৬০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে পূর্ব তিমুর কর্তৃপক্ষ। এদের ৫৫ জনই লেমানেল গ্রামের, কারণ সেখানে ভূমিধস ও বন্যার কবলে পড়েছে। এ ছাড়া রাজধানী দিলিতে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ইন্দোনেশিয়ার সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেনি।


তিমুর বেসামরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াকিম জোস গুসমাও ডোস রেইস বলেন, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে উদ্ধার অভিযান চলছে। দ্বীপ রাষ্ট্রটির বহু মানুষকে ঘরবাড়ি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।


নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বর্ষার মৌসুমে ইন্দোনেশিয়াসহ আশপাশের দ্বীপ অঞ্চলগুলোতে প্রতিবছরই বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে এবং বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

মন্তব্যসমূহ