হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

তারাবি ও মসজিদে জামাত নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা


 

আসন্ন রমজানে দেশের সব মসজিদে তারাবির নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ চালু থাকবে। ইমাম, মুয়াজ্জিন, হাফেজসহ সর্বমোট ২০ জন মুসল্লি এতে অংশ নেবেন। 


সোমবার সন্ধ্যায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয় এতে। 


ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন। 


মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ওয়াক্তেও সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া জুমার নামাজে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশগ্রহণ করতে হবে। 


এর সঙ্গে ইতিপূর্বে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত মসজিদে জুমা ও জামাত বিষয়ক নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। এছাড়া রমজান মাসে ইফতার মাহফিলের নানে কোন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবেনা।


করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে সাত দিনের ‘কঠোর লকডাউন’ শুরু হচ্ছে। লকডাউনের পর দিন থেকে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হবে।  


করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে দ্বিতীয় দফায় সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, তাতে ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 


সেখানে জুমা ও তারাবি নামাজের বিষয়ে বলা হয়েছে— স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুমা ও তারাবি নামাজের জমায়েত বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করবে।


এর আলোকেই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা জারি করে।  

মন্তব্যসমূহ