হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পুলিশ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩ জন রিমান্ডে

 




জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ছাত্রদলের ১৩ নেতাকর্মীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আজ সোমবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। শাহবাগ থানার দায়েরকৃত মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের বিরুদ্ধে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর (এসিএমএম) আসাদুজ্জামান নুর তাদের প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


এ ঘটনায় রোববার রাতে বিএনপির ৪৮ নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ সাহ। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ২শ’ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।


রিমান্ডভূক্তরা হলেন, মঞ্জুরুল আলম, আতাউর রহমান, মাসুদ রানা, শফিকুল ইসলাম, শাহিরাজ, আহসান হাবিব ভূইয়া রাজু, কবির হোসেন, মনোয়ার ইসলাম, আরিফুল হক, আনিচুর রহমান, খন্দকার অনিক, আবু হায়াত মো. জুলফিকার,রমজান ও আতিফ মোর্শেদ।


মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার লেখক মোসতাক আহমেদের জেল হাজতে মৃত্যু ও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভকারীরা বিনা অনুমতিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। এ সময় তারা প্রেস ক্লাবের ভেতরে অবস্থান নেয় এবং পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুয় হয়। এবপর্যায়ে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ।

সূত্র: বাসস

মন্তব্যসমূহ