হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

প্রেসক্লাবে চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে পুলিশ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

 




রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষের সময় পুলিশ চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, গতকালও আমরা দেখলাম প্রেস ক্লাবের সামনে একা একজন পুলিশকে পেয়ে কীভাবে পেটানো শুরু হয়েছিল। তা সবাই দেখেছেন। সেখানে পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। প্রেসক্লাবে কোনোদিন আমাদের পুলিশ ভেতরে ঢোকে না এবং এদিন যেভাবে ইটপাটকেল ছুঁড়ছিল সে সময় দু-একজন হয়ত ঢুকেছে। কিন্তু যেভাবে ইট-পাটকেল ও মারামারির সৃষ্টি হয়েছিলো সেখানে উচিত ছিল মারামারি না করা। চরম ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে পুলিশ।


সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২১’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন ।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।


মন্ত্রী বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিতরে যেন বহিরাগত কেউ প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয় প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে।


তিনি বলেন, ‘প্রেসক্লাবের সামনে এবং ভেতরে বহিরাগতদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশ প্রেসক্লাবের দিকে তাক করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে। বহিরাগত ও পুলিশ প্রেসক্লাবে ঢুকলো। তাহলে কি প্রেসক্লাব অনিরাপদ?’


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন নিরাপত্তা স্থিতিশীল রাখার নিয়ামক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ বাহিনী শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়ই নয় জঙ্গি নির্মূলেও কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গি উত্থানের সময় পুলিশকে আহত করা হয়। সে চিত্রও আমরা রাজশাহীতে এক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে দেখেছি। গতকালও দেখলাম প্রেসক্লাবে।’


মন্ত্রী আরো বলেন, ‌‘পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্য মারা যাচ্ছেন। ২০২০ সালে বিভিন্ন অবস্থায় বিভিন্ন পদের ৪৫৭ জন পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে ২০৮ জন কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি নিহত ও মৃত্যুবরণকারী শোক সন্তপ্ত পুলিশ সদস্য পরিবারের প্রতি শোক-সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’


তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের আন্তরিকতা কর্মনিষ্ঠা এবং নিজেদের জীবন উৎসর্গ করার মত চরম ত্যাগে দায়িত্ব পালনে যে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন, সেজন্য পুলিশ বাহিনীসহ আমরা দেশবাসী গর্বিত।’


‘পুলিশ বাহিনী তাদের অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অগ্রযাত্রায় প্রথম দরকার আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেটা পুলিশ সঠিকভাবেই করে যাচ্ছে।’


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় যখন আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেছিলাম, যখন আমাদের কাছে তখন করোনার কোনো প্রতিষেধক ছিল না, করোনায় মৃত্যুবরণকারী মায়ের ডেড বডি হাসপাতাল থেকে সন্তান যখন নিতে আসছিল না, তখন পুলিশ সেই মায়ের ডেড বডি বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করেছে। করোনায় দুস্থ অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ।’

মন্তব্যসমূহ