হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

গরুর গোশত রান্না করতে পারি বলায় অভিনেত্রীকে খুন ও গণধর্ষণের হুমকি

 





সায়নী ঘোষের পর এবার দেবলীনা দত্ত। বিফ বা গরুর গোশত খাওয়া নিয়ে মন্তব্য করার জেরে কট্টরপন্থীদের অশালীন মন্তব্যের শিকার হতে হলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রীকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাচ্ছেন খুন ও গণধর্ষণের হুমকি। ফেসবুকে স্ক্রিনশট শেয়ার করে জানালেন অভিনেত্রীর স্বামী তথা টলিপাড়ার তারকা তথাগত মুখোপাধ্যায়। যাদবপুর থানায় দায়ের করা হয়েছৈ এফআইআর।


ঘটনার সূত্রপাত হয়, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের চ্যাট শোয়ে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করার সময় পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের কথার সূত্র ধরে দেবলীনা জানান, তিনি নিজে নিরামিষভোজী হলেও প্রয়োজনে পুজোর সময় কারো বাড়ি গিয়ে গরুর মাংস পর্যন্ত রান্না করে দিতে পারেন। এই মন্তব্যের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন মন্তব্য করা হয় অভিনেত্রীকে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। অভিনেত্রীর মাকে উল্লেখ করেও কুমন্তব্য করা হয়। দেবলীনাকে খুন ও গণধর্ষণের হুমকিও দেয়া হয়। সেই সমস্ত স্ক্রিনশট শেয়ার করেন তথাগত।


এক সংবাদমাধ্যমকে এবিষয়ে জানাতে গিয়ে দেবলীনা জানান, এটাই রেওয়াজ। কোনো মহিলা অন্য স্বরে কথা বললেই তাকে এভাবে হুমকি দেয়া হয়। বলেন, “বাবুল সুপ্রিয় এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিনি কলেজ লাইফে বহুবার বিফ বা গরুর মাংস খেয়েছেন, তা নিয়ে কিন্তু কোনো প্রশ্ন করা হয়নি যে উনি কেন গোমাংস খেলেন?” অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় জানান, একজন নাগরিক হিসেবে তিনি কথা বলেছিলেন। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে লেখা হতে পারে তা তিনি ভাবতে পারেননি।


তথাগতর পোস্ট শেয়ার করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও। তিনি লেখেন, “হিন্দু ধর্মে বুঝি মহিলাদের এই ভাষায় সম্মান জানায়? বাহ চোখ জুড়িয়ে গেল। এরপরও মানুষ তুমি মূক ও বধির হয়ে থাকবে?”


সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্যসমূহ