গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হচ্ছে ৭ মুসলিম দেশ

 




আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা পর আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন জো বাইডেন। শপথের প্রথম দিনই যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে পারেন তিনি। খবর সিএনএন’র। 


বাইডেনের মনোনীত হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ রন ক্লেইনের এক নথি থেকে জানা গেছে, ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই বাইডেন বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ জারি করতে পারেন। এর মধ্যে মুসলিম দেশগুলোর ওপর আরোপ করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংশ্লিষ্ট আদেশ থাকতে পারে। এছাড়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেরা, করোনা ভাইরাস মহামারির সময় শিক্ষার্থীদের বিতাড়ন ও ঋণ স্থগিত সংক্রান্ত ট্রাম্পের আদেশ বাতিল, অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়গুলো থাকতে পারে। 


এছাড়া মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের সন্তানদের সঙ্গে মা–বাবার পুনর্মিলনের ব্যবস্থা করতেও পদক্ষেপ নিবে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।


ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে ২০১৭ সালে ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিন পরই সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সেই দেশগুলো হলো- ইরান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, সুদান, ইয়েমেন ও সোমালিয়া।


এদিকে, বাইডেনের অভিষেকের দিনে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। ফলে ৫০টি রাজ্যের সবগুলো ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সারা দেশ থেকে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে মোতায়েন করা হচ্ছে। খবর বিবিসি’র।


রোববার (১৭ জানুয়ারি) দেশজুড়ে সশস্ত্র প্রতিবাদ হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে দেশজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়।


যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) সতর্ক করে জানিয়েছে, দেশটির ৫০টি রাজ্যের প্রতিটি ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকরা সশস্ত্র মিছিল বের করতে পারে। এ কারণে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার ন্যাশনাল মল বন্ধ করা হয়েছে। ক্যাপিটলের রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়া হচ্ছে।


পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ভার্জিনিয়ার এক ব্যক্তিকে দুটি অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ৫০৯টি অনিবন্ধিত গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ক্যাপিটল সংলগ্ন পুলিশ চেকপোস্ট অতিক্রমকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


এদিকে মেরিল্যান্ড, নিউ মেক্সিকো ও উটাহ রাজ্যের গভর্নররা জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়া, পেনসিলভেইনিয়া, মিশিগান, ভার্জিনিয়া, ওয়াশিংটন ও উইসকনসিনসহ অনেক রাজ্যে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের মোতায়েন করছে। 


টেক্সাস শনিবার থেকে বাইডেনের অভিষেক পর পর্যন্ত রাজ্য ক্যাপিটল বন্ধ রাখছে। টেক্সাসের জননিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ‘সহিংস উগ্রপন্থিরা’ ঢুকে যেতে পারে বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন।


বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের সময় যেসব রাজ্যে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবিরে বৈরীতা দেখা গেছে সেগুলোতে সহিংসতার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। সেগুলোর একটি মিশিগান, এরইমধ্যে কর্তৃপক্ষ রাজ্য ক্যাপিটল ঘিরে ছয় ফুট নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছে।


রাজ্যের পুলিশের পরিচালক জো গ্যাস্পার বলেছেন, অন্তত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ এই ভবন ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।


এদিকে বাইডেনের শপথের দিন সকালেই হোয়াইট হাউস ছাড়বেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফলে বাইডনের শপথ অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের না থাকার বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত। ওয়াশিংটন ডিসি ছেড়ে ফ্লোরিডা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প। 

মন্তব্যসমূহ