হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

কারাবাখে ‘যৌথ পর্যবেক্ষণ’ নিয়ে পুতিনকে এরদোগানের ফোন

 




নাগোরনো-কারাবাখে ‘যৌথ পর্যবেক্ষণ’ প্রতিষ্ঠা নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। মঙ্গলবার এ দুই নেতার মধ্যে কথোপকথন হয়।


এরদোগান আশা করছেন, নাগোরনো-কারাবাখে একটি ‘যৌথ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং শিগগিরই এটি কাজ শুরু করবে। 


তুরস্কের যোগাযোগ অধিদফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট এরদোগান পুতিনকে বলেছেন, নাগোরনো-কারাবাখ সংঘাত নিরসন ও এ অঞ্চলে স্থায়ী স্থিতিশীলতা আনতে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তার অংশ হিসেবে কেন্দ্রটিকে যত দ্রুত সম্ভব সক্রিয় হওয়া উচিত।


সংঘাত নিরসনে ১০ নভেম্বর রাশিয়ার সঙ্গে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার চুক্তি স্বাক্ষর হয়। 

এ ছাড়া বিরোধীয় অঞ্চলে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যৌথ পর্যবেক্ষণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এটি আর্মেনিয়া দখল থেকে মুক্ত হওয়া আজারবাইজানি অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হবে।  


সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দুই দেশের মধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধ চলে আসছে বহু আগে থেকেই। ১৯৯১ সালে আর্মেনিয়া  নাগোরনো-কারাবাখ দখল করলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। 


পরে চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হলেও সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর আবারও দুই দেশ যুদ্ধে জড়ায়। পরে আর্মেনিয়া গত ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আজারবাইজানের সঙ্গে চুক্তি করতে বাধ্য হয়।


৪৪ দিন চলা এই যুদ্ধে বাকু ৩০০টির বেশি বসতি ও এলাকা দখলমুক্ত করে।


চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয়ের দলিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ চুক্তিটিকে তুরস্ক সমর্থন জানিয়েছে। 


তথ্যসূত্র : ইয়েনি শাফাক

মন্তব্যসমূহ