জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

একাত্তরের কুকীর্তি বিশ্বে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছে: মোদি



 ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ঘৃণ্য জেনোসাইড পাকিস্তানের ঘৃণিত চেহারার মুখোশ খুলে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত শনিবার রাজস্থানের জয়সলমেরে দিওয়ালির ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বাংলাদেশে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার কথাও তুলে ধরেন।


১৯৭১ প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এটা সেই সময় ছিল যখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের নিরাপরাধ নাগরিকদের ওপর অত্যাচার করছিল, জুলুম করছিল, হত্যা করছিল। মা-বোনেদের উপর অমানুষিক অত্যাচার করছিল। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এই কুকীর্তি, সারা পৃথিবীতে পাকিস্তানের ঘৃণিত চেহারার মুখোশ খুলে দিয়েছিল।’


তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের ভয়ঙ্কর রূপ বিশ্বের সামনে প্রকাশ পাচ্ছিল। এসব কিছু থেকে বিশ্বের নজর সরানোর জন্য পাকিস্তান আমাদের দেশের (ভারতের) পশ্চিম সীমান্তে হামলা করে।’


নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘পাকিস্তান ভেবেছিল ভারতের পশ্চিম সীমান্তে হামলা করে বিশ্বকে ভারত এই করেছে, সেই করেছে বলে কান্না জুড়ে দেবে, আর তাতে বাংলাদেশে তাদের সমস্ত পাপ ধুয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের সৈনিকরা তাদেরকে যে উপযুক্ত জবাব দিয়েছিল, তাতে পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল।’


মোদি বলেন, ‘এখন যখন ১৯৭১ সালের যুদ্ধের এবং লঙ্গেওয়ালার যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি হতে চলেছে, কয়েক সপ্তাহ পরেই আমরা এর ৫০ বছর, এই গৌরবপূর্ণ সোনালী অধ্যায়ের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করব। সেই প্রেক্ষিতে আজ আমার এখানে আসার ইচ্ছে হয়েছে।’


মোদি আরো বলেন, ‘গোটা দেশ এই বীরেদের বিজয়গাঁথা শুনে নিজেদের গৌরবান্বিত অনুভব করবেন। তাঁদের সাহস বাড়বে, নতুন এবং আগামী প্রজন্ম এই পরাক্রম থেকে প্রেরণা নেয়ার জন্য এটি তাঁদের জীবনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এনে দেবে।’

মন্তব্যসমূহ