হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আর্মেনীয় বাহিনীর ওপর গোলা হামলা, হতাহতের ভিডিও প্রকাশ

 





বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়ার সঙ্গে আজারবাইজানের তুমুল যুদ্ধ চলছে। তৃতীয় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে উভয় দেশে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ দুটি যুদ্ধের জন্য পরস্পরকে দায়ী করে আসছে। যুদ্ধে আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর হাতে আর্মেনীয়দের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 


রোববার আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দুটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।  একটি ভিডিওতে আর্মেনীয় সেনাবাহিনীর ওপর হামলার ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, জড়ো হয়ে থাকা আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর ওপর আজারবাইজান গোলা হামলা করছে। মুহূর্তেই সেনাদল হতাহত হচ্ছে। 


অপর ভিডিওতে দেখা গেছে, আর্মেনিয়ার আর্টিলারির ওপর একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আজারবাইজান। এতে আর্টিলারিগুলো ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে।


২৭ সেপ্টেম্বর থেকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে। ১০ অক্টোবর থেকে তৃতীয় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই দেশ তুমুল সংঘাতে জড়ায়। 


আজারবাইজানের চিফ প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৯১ বেসামরিক নাগরিক আর্মেনিয়ার হামলায় নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ১১ শিশু ও ২৭ জন নারী রয়েছেন। এছাড়া হামলায় ৪০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৪ নবজাতক, ৩৬ শিশু ও ১০১জন নারী রয়েছেন। 


আর্মেনিয়ার হামলায় অন্তত আড়াই হাজার ঘরবাড়ি, ৯২টি অ্যাপার্টমেন্ট এবং ৪২৮টি সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আজারবাইজানের কর্তৃপক্ষ।


আজভিশন

মন্তব্যসমূহ