জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

নিউজিল্যান্ড পুলিশে প্রথম হিজাব পরা নারী

 




নিউজিল্যান্ড পুলিশ বাহিনীর প্রথম হিজাবি নারী কর্মকর্তা জাইনা আলী। সম্প্রতি তিনি দেশটির পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেছেন।


ফিজি বংশোদ্ভূত ওয়েলিংটনের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী এই মুসলিম নারী এখন ইতিহাসের অংশ। খবর নিউজিল্যান্ড হ্যারাল্ডের।


জাইনা আলী বলেন, আমার অনেক ভালো লাগছে এটি ভেবে যে, নিউজিল্যান্ডের পুলিশ ইউনিফরম পরে আমি সমাজসেবা করব এবং এর সঙ্গে আমি হিজাবও ব্যবহার করতে পারব।


আমি মনে করি, পুলিশ বাহিনীতে হিজাব অনুমোদনের পর মুসলিম নারীরা পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের জন্য আগ্রহ পোষণ করবেন।


নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার সময় জাইনা আলী একটি বেসরকারি সংস্থার গ্রাহকসেবা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ওই ঘটনার পর তিনি দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের সহায়তা করার জন্য পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।


পুলিশ কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে এ বাহিনীর নকশাকৃত ও অনুমোদিত হেডস্কার্ফ পরিধান করে পুলিশে যোগদান করেন।


দেশটির সংখ্যালঘু মুসলমানদের সহায়তার উদ্দেশ্যে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে জাইনা আলী সে দেশের পুলিশ বাহিনীর প্রথম হিজাবি নারী অফিসার।


মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে জাইনা আলী বলেন, আরও আগে যদি পুলিশ বাহিনীতে অংশগ্রহণ করতাম, তা হলে ওই ঘটনায় হতাহত মুসলমানদের সহায়তা করতে পারতাম।


নিউজিল্যান্ডের পুলিশ প্রশাসন ঘোষণা করেছে, তাদের বাহিনীতে দক্ষতাসম্পন্ন সদস্য এবং বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের অনুসারীদের প্রয়োজন। দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকতর সেবা প্রদানের জন্য পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বৈচিত্র্য অপরিহার্য।


এর আগে নিউজিল্যান্ড পুলিশ প্রথমবারের মতো তাদের সরকারি ইউনিফরমে হিজাব অন্তর্ভুক্ত করে। তাদের যুক্তি, এটি মুসলিম নারীদের মানসিকতাকে আরও শক্তিশালী করবে।

মন্তব্যসমূহ