হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

নোয়াখালীতে বিবস্ত্র করে গৃহবধু নির্যাতন, যুবক গ্রেফতার

 





নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে নিজ ঘরে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। রোববার সকাল থেকে ঘটনাটি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।


জানা যায়, উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার মেয়ের সাথে স্বামীর মনমালিন্য ছিলো দীর্ঘদিন। স্থানীয় দেলোয়ারের নেতৃত্বে এলাকার, রহিম, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা ওই মহিলাকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধুর স্বামী শশুর বাড়িতে আসে। তারা ঘরে অবস্থান করা কালে স্বামীসহ গৃহবধুকে আটক করে অভিযুক্তরা ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তারা স্বামীকে বেঁধে রেখে অবৈধ সম্পর্কের কথা বলে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে। এ সময় তার অপত্তিকর ভিডিও করে রাখে নির্যাতনকারীরা। ঘটনার ৩২ দিন পর ৪ অক্টোবর রোববার সকাল থেকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। দিনভর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পূর্ব একলাশপুর গ্রামের বাড়িধন বাড়ির আবদুর রহিমকে আটক করে।


নির্যাতনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হচ্ছেনা। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ভয়ে গণধর্ষিতার পরিবার এ নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে। তাই ঘটনার ৩২ দিন অতিবাহিত হলেও ভুক্তভোগি পরিবার এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি।


রোববার সন্ধায় নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, গৃহবধুকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এবং নির্যাতিতা পরিবারকে আইনি সহযোগীতা দিতে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্যসমূহ