হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করল ইসি

 




নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।


জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার নোয়াবুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানায় এ মামলা করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাইফুল ইসলাম।


চরভদ্রাসন থানার ওসি নাজনীন খানম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসককে (ডিসি) হুমকি ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের গালাগাল করার অভিযোগ উঠেছে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গন উত্যপ্ত।


নিক্সনের বিরুদ্ধে আজকালের মধ্যে মামলা করা হবে বলে বুধবার জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তার কথামতো আজই এ মামলা দায়ের হলো।


এর আগে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় যে, ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন) বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। বুধবারই মামলা নির্দেশনাসংক্রান্ত চিঠি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফরিদপুরের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।


ইসি সূত্র জানায়, ১০ অক্টোবর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচন কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের হুমকি এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের গালাগাল করেন নিক্সন চৌধুরী। এ ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অশোভন আচরণের বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনেও চিঠি দেয়। সূত্র আরও জানায়, ওই চিঠি পর্যালোচনা করে কমিশন সচিবালয় উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে সর্বোচ্চ ছয় মাস কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।


তবে নিক্সন চৌধুরীর অভিযোগ তিনি কাউকে হুমকি দেননি। সুপার এডিট করে হুমকির ভিডিও প্রচার করা হয়েছে তাকে হেনস্তা করতে।

মন্তব্যসমূহ