হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

নবীর অবমাননা: জুমার পর রাজধানীতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

 




ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন প্রকাশের বিরুদ্ধে সারাদেশে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইট, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন। বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে দেশের সব মসজিদ থেকে।


হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।


এসব বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন প্রকাশ করে মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে চরম আঘাত হেনেছে। এ জন্য ফ্রান্সকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ঈমানদার মুসলমানরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে ফ্রান্সের সকল পণ্য বর্জন করে ওদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।


ভিন্ন ভিন্ন বিভিন্ন প্রতিবাদ মিছিলে বক্তারা বলেন, ‘ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় মদদে মহানবী (সা.)-এর অবমাননাকর কার্টুন প্রদর্শন করায় বিশ্বের দুইশ’ কোটি মুসলমান ব্যথিত হয়েছেন। ফ্রান্সের এহেন ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। বিক্ষুব্ধ মুসলমানদের হৃদয়ের ক্ষত মুছতে হলে ফ্রান্সকে অবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। জাতীয় সংসদে মহানবী (সা.)-এর অবমাননার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে হবে।’


বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সমমনা ইসলামী দলসমূহের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।


এর আগে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।


আলাদাভাবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসও বাদ দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। পীর সাহেব চরমোনাইর আহ্বানে ব্যানারবিহীন বিক্ষোভ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশও।

মন্তব্যসমূহ