হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

নুরসহ সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে

 



নানারকম বিভ্রান্তির পর অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।


সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে যুগান্তরকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) একেএম হাফিজ আকতার।


তিনি জানান, ডিবি অফিসে নেয়ার পর নুরের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। রাতে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তার অসুস্থতার কারণে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।


প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে আটকের পর তার মুক্তি নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।


সোমবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে নূরসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশ।


পুলিশের কাজে বাধা দেয়া এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে শাহবাগ থেকে তাদের আটক করা হয়। এর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর এলেও বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।


ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা যুগান্তরকে বলেন, ভিপি নুরসহ আমাদের কয়েকজন সহযোদ্ধার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম।


বিক্ষোভ মিছিলের শেষের দিকে শাহবাগ থেকে পুলিশ ভিপি নুরকে আটক করে। এ সময় পুলিশের অতর্কিত আক্রমণে নুরকে বাঁচাতে গিয়ে আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। আমি নিজেও আহত হয়েছি।


এর আগে রোববার নুরসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।


মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে ভিপি নুরকে করা হয়েছে ৩ নম্বর আসামি।


গত ৩ জানুয়ারি ধর্ষণ এবং এতে সহযোগিতার অভিযোগ এনে লালবাগ থানায় তাদের নামে এ মামলা করা হয়।

মন্তব্যসমূহ