জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

কুমিরের পেট কেটে বের করা হল কিশোরের দেহাবশেষ

 



মালয়েশিয়ার কুচিংয়ে নদীর তীরে রিকি গানিয়া নামক ১৪ বছরের এক কিশোরকে একটি কুমির জীবিত খেয়ে ফেলার তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার কুমিরের পেটের ভেতর থেকে টেনে বের করা হয় সেই কিশোরের দেহাবশেষ।

দ্য সান’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩১ জুলাই মালয়েশিয়ার কুচিংয়ে নদীর তীরে শামুক সংগ্রহ করতে গিয়েছিল রিকি গানিয়া নামক এক কিশোর। সেখানেই কুমিরের আক্রমণের শিকার হন তিনি। পরে কুমিরটি ছেলেটির পায়ের গোড়ালিতে চেপে ধরে পানির গভীরে চলে যায়।

এই ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী ছেলেটির খালা সাহায্যের জন্য ডাকার পর জরুরি সার্ভিস আসে। পরে তারা ১৪ ফুটের কুমিরটিকে ধরার জন্য একটি মুরগি টোপ হিসেবে ব্যবহার করে। তবে কিশোরের দেহটি পুনরুদ্ধার করে উপকূলে আনতে অনেক সময় লেগেছে।

প্রতিবেদনটিতে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয়রা কুমিরের পেট কেটে তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সরিয়ে দেয়। কুমিরটির পেটটি তখন কেটে ফেলা হয়। সেখানে রিকি’র পরিহিত পোশাকগুলোর পাশাপাশি তার দেহের অঙ্গগুলোও পাওয়া গেছে।

সারাওয়াক ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ অপারেশনস সেন্টারের একজন কর্মকর্তা বলেন, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ছেলেটিকে যেখানে শেষবার দেখা গিয়েছিলো তার তিন মাইল দূরে কুমিরটিকে একটি মুরগির বাচ্চা টোপ হিসেবে দেয়া হয়। কুমিরটিকে তীরে এনে তার পেট পরীক্ষা করার পর সেই নিখোঁজ কিশোরের খোঁজ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত জুনে ইন্দোনেশিয়ার উত্তর কালিমান্টনে একটি নদীতে মাছ ধরার সময় একটি কুমির ৪৫ বছর বয়সী এক মহিলার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো।

মন্তব্যসমূহ