হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

বাইক চালিয়ে গায়ে হলুদ ও বিয়ের আসরে কনে

 



গায়ে হলুদের দিনে শহরজুড়ে বন্ধু-বান্ধব ও সাথীদের নিয়ে বাইক র‌্যালি (মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা) করলেন কনে। ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছেন যশোরের মেয়ে ফারহানা আফরোজ। গত ১৩ আগস্ট গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ঘিরে এমন আয়োজন করেন ফারহানা।


ফারহানা জানান, সবাই নেচেগেয়ে উদযাপন করেছি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। আমি যেহেতু বাইক চালাতে পারি তাই বাইক চালিয়ে অনুষ্ঠান করেছি। ব্যতিক্রমী কিছু করার ভাবনা থেকেই এমন আয়োজন করেছি। এটি আমার নিজস্ব উদ্যোগে করেছি। অনেক আনন্দ করেছি বন্ধু-বান্ধব ও সাথীরা।


ফারহানা আফরোজের বাড়ি যশোর সার্কিট হাউজের সামনে। যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে এসএসসি ও ২০১৩ সালে যশোর আব্দুর রাজ্জাক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এখন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) থেকে এইচআর-এ এমবিএ করছেন ফারহানা।


ফারহানা আফরোজ জানালেন, ২০০৭ সাল থেকে তিনি বাইক চালান। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানকে ব্যতিক্রমী করতে ভিন্নধর্মী ভাবনা তার মাথায় ছিল। এই ভাবনা থেকেই তিনি এমন আয়োজন করেছেন। বিয়ে, গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে সবাই নেচেগেয়ে উৎসব করেছেন। আমি যেহেতু বাইক চালাতে পারি; তাই বাইক চালিয়েই গায়ে হলুদ ও বিয়ের অনুষ্ঠানে এন্ট্রি দেয়ার পরিকল্পনা করেছি।



গত ১৩ আগস্ট ছিল ফারহানার গায়ে হলুদ। পরদিন ১৪ আগস্ট তার বিয়ে হয়েছে। ছেলে হাসনাইন রাফি পাবনার কাশিনাথপুরের বাসিন্দা। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হাসনাইন রাফি ঢাকার গাজীপুরে কর্মরত আছেন।


এই বিয়ের অনুষ্ঠান ক্যামেরায় ধারণ করা নাহরুল হায়াত তরু (খান সাহেব) জানালেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ক্যামেরায় কাজ করছেন। কিন্তু এমন ব্যতিক্রমী বিয়ে-গায়ে হলুদের আয়োজন দেখেননি। এই গায়ে হলুদের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই তার কাছে ফোন করছেন।

জাগোনিউজ

মন্তব্যসমূহ