গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

সোমালিয়ার হোটেলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা,১৭ জন নিহত

 



সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে একটি হোটেলে সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় ইতোমধ্যে ১৭ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরো অনেকে। সন্ত্রাসীদল জিম্মি করে রেখেছে আরো অনেককে। 


রোববার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর মোগাদিসুর লিডো বিচ এলাকার এলিট হোটেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।


এখনো কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে আল-কায়েদা সমর্থিত আল শাবাব জড়িত এই ন্যাক্কারজনক হামলায়।


সোমালিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী এ পর্যন্ত চার হামলাকারীকে হত্যা করেছে। 


আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, হোটেলটিতে হামলা শুরু হয় শক্তিশালী গাড়িবোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে। গাড়িটি হোটেলের দেয়ালে আছড়ে পড়ে প্রচণ্ড শক্তিতে বিস্ফোরিত হয়। এর পরপরই একদল সশস্ত্র বন্দুকধারী হোটেলটিতে প্রবেশ করে।


পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে দু’জন সরকারি কর্মকর্তা, তিনজন হোটেলের নিরাপত্তাকর্মী  চারজন সাধারণ নাগরিক এবং তিন জন অজ্ঞাত রয়েছেন।


হামলার পরপরই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে হোটেলটি। এর বাইরে সেনাবাহিনীর গাড়ি অবস্থান নিতে দেখা গেছে। জিম্মি দশার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ