হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

যে কারণে পাক সেনাপ্রধানকে সাক্ষাৎ দেননি সৌদি যুবরাজ

 



কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতীয় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রিয়াদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সৌদির সঙ্গে সম্পর্কের বেশ অবনতি ঘটেছে পাকিস্তানের।


এর জেরেই চলতি সফরে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানের সাক্ষাৎ পাননি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া।


এমনটাই দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।


বিবিসি জানিয়েছে, সম্পর্কের বরফ গলাতে পাক সেনাপ্রধানের সৌদি সফরে দেশটির উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ খালিদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক হয়। ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলেও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানের সাক্ষাৎ পাননি জেনারেল বাজওয়া।


এছাড়া সৌদি আরবের সেনাপ্রধান জেনারেল ফাইয়াদ বিন হামিদ আল-রওয়ালির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি।


এমন এক সময় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সৌদি সফরে গেছেন, যখন অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে দীর্ঘদিনের দুই মিত্রের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।


বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জম্মু ও কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে সৌদির উষ্ণ প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদের বিরল সমালোচনার পর রিয়াদের তিক্ততা লাঘব করতেই এই সফর।


চলতি মাসের শুরুতে কাশ্মীর ইস্যুতে সৌদি প্রভাবিত ওআইসির পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের কাউন্সিল আয়োজনে সময় নষ্ট না করতে আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরাইশি।


হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ওআইসি যদি ওই কাউন্সিল আয়োজনে ব্যর্থ হয়, তবে কাশ্মীর ইস্যুতে যেসব দেশ আমাদের সমর্থন করছে, তাদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে আমি অনুরোধ করবো। সেটা ওআইসি কিংবা অন্য যে কোনো ফোরামের মাধ্যমে হতে পারে।


কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে যথেষ্ট চাপ দিচ্ছে না সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি।


পাকিস্তান এমন অভিযোগ তোলার পর ইসলামাবাদকে দেয়া ঋণ ও জ্বালানি তেলের সরবরাহ বন্ধ করে দেয় রিয়াদ; যা দুই মিত্র দেশের সম্পর্কের অবনতির নতুন মাইলফলক হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ