জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

হাঙরের মুখ থেকে শিশুকে বাঁচালেন পুলিশ কর্মকর্তা (ভিডিও)



হাঙরের পেটেই চলে যেতে বসেছিল শিশুটি। কিন্তু অফ ডিউটিতে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তার তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেল সে। গত ১৬ জুলাই স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কোকো বিচে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনার একটি ভিডিও ‘কোকো বিচ পুলিশ অ্যান্ড ফায়ার’ এর ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া কীভাবে শিশুটি প্রাণে রক্ষা পায় তার বর্ণনাও দেয়া হয়েছে কোকো বিচ পুলিশের ওই পোস্টে।

কোকো বিচ পুলিশ কর্মকর্তা অ্যাড্রিয়ান কোসিকি ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় স্ত্রীর সঙ্গে পিরের কাছে সৈকতে হাঁটছিলেন। ওই সময় তারা দেখেন যে, একটি হাঙর ছোট্ট একটি ছেলের দিকে এগিয়ে আসছে। সার্ফিং বোর্ড নিয়ে ওই শিশুটি সাঁতার কাটছিল। অ্যাড্রিয়ান দ্রুত পানিতে নেমে হাঙরের খুব কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সমুদ্রের পানিতে একের পর এক ছোট ছোট ঢেউ এগিয়ে আসছে। আর সেই পানিতে ক্যামেরা যেন বিশেষ কিছু একটাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করছে। একটু পরই অবশ্য পরিষ্কার হয়ে যায়, সেটি একটি হাঙর। যার পিঠের ও লেজের পাখনার খানিকটা পানির ওপর দেখা যাচ্ছে।

অল্প পানিতেই ঘুরে বেড়াচ্ছিল হাঙরটি। আর তার কাছেই সার্ফিং বোর্ড নিয়ে সাঁতার কাটছিল একটি শিশু। যিনি ক্যামেরায় হাঙরটির গতিবিধি রেকর্ড করছিলেন তিনি ছাড়াও অন্তত আরও একজন ছিলেন সেখানে। তিনি পুলিশ কর্মকর্তা অ্যাড্রিয়ান কোসিকি। যিনি হাঙরটির উপস্থিতি বুঝতে পেরেই ওই বাচ্চাটিকে টেনে সরিয়ে আনেন। হাঙরটি তার দিকেই এগোচ্ছিল।

সময় মতো পুলিশ কর্মকর্তা ওই বাচ্চাটিকে পানি থেকে সরিয়ে না নিয়ে এলে হাঙরের আক্রমণে তার প্রাণ পর্যন্ত যেতে পারত। অফ ডিউটিতে থাকা ওই পুলিশ কর্মকর্তার সবাই প্রশংসা করেছেন। তিনি না থাকলে ওই শিশুটির কী হত তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।

মন্তব্যসমূহ