হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

হাঙরের মুখ থেকে শিশুকে বাঁচালেন পুলিশ কর্মকর্তা (ভিডিও)



হাঙরের পেটেই চলে যেতে বসেছিল শিশুটি। কিন্তু অফ ডিউটিতে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তার তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেল সে। গত ১৬ জুলাই স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কোকো বিচে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনার একটি ভিডিও ‘কোকো বিচ পুলিশ অ্যান্ড ফায়ার’ এর ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া কীভাবে শিশুটি প্রাণে রক্ষা পায় তার বর্ণনাও দেয়া হয়েছে কোকো বিচ পুলিশের ওই পোস্টে।

কোকো বিচ পুলিশ কর্মকর্তা অ্যাড্রিয়ান কোসিকি ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় স্ত্রীর সঙ্গে পিরের কাছে সৈকতে হাঁটছিলেন। ওই সময় তারা দেখেন যে, একটি হাঙর ছোট্ট একটি ছেলের দিকে এগিয়ে আসছে। সার্ফিং বোর্ড নিয়ে ওই শিশুটি সাঁতার কাটছিল। অ্যাড্রিয়ান দ্রুত পানিতে নেমে হাঙরের খুব কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সমুদ্রের পানিতে একের পর এক ছোট ছোট ঢেউ এগিয়ে আসছে। আর সেই পানিতে ক্যামেরা যেন বিশেষ কিছু একটাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করছে। একটু পরই অবশ্য পরিষ্কার হয়ে যায়, সেটি একটি হাঙর। যার পিঠের ও লেজের পাখনার খানিকটা পানির ওপর দেখা যাচ্ছে।

অল্প পানিতেই ঘুরে বেড়াচ্ছিল হাঙরটি। আর তার কাছেই সার্ফিং বোর্ড নিয়ে সাঁতার কাটছিল একটি শিশু। যিনি ক্যামেরায় হাঙরটির গতিবিধি রেকর্ড করছিলেন তিনি ছাড়াও অন্তত আরও একজন ছিলেন সেখানে। তিনি পুলিশ কর্মকর্তা অ্যাড্রিয়ান কোসিকি। যিনি হাঙরটির উপস্থিতি বুঝতে পেরেই ওই বাচ্চাটিকে টেনে সরিয়ে আনেন। হাঙরটি তার দিকেই এগোচ্ছিল।

সময় মতো পুলিশ কর্মকর্তা ওই বাচ্চাটিকে পানি থেকে সরিয়ে না নিয়ে এলে হাঙরের আক্রমণে তার প্রাণ পর্যন্ত যেতে পারত। অফ ডিউটিতে থাকা ওই পুলিশ কর্মকর্তার সবাই প্রশংসা করেছেন। তিনি না থাকলে ওই শিশুটির কী হত তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।

মন্তব্যসমূহ