জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

স্বামীকে ছেড়ে সৎ ছেলেকে বিয়ে!



কত অসম প্রেমের গল্পই না ঘোরে পৃথিবীর চিত্রপটে। তবে রাশিয়ার ক্রাসোন্দাতে এবার যা ঘটলো তা সচরাচর দেখা যায় না কোথাও। স্বামীকে তালাক দিয়ে সৎ ছেলের সঙ্গে ঘর পেতেছেন এক নারী।

রাশিয়ার ক্রাসোন্দার  ক্রাই নামক এলাকায় বেশ জনপ্রিয় নাম মারিনা ব্লামাশেভা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহু ফলোয়ার রয়েছে তার। ৩৫ বছর বয়সী মারিনা সম্পর্কে নিজের থেকে ১৫ বছরের ছোট ভ্লাদিমিরের সৎমা।

ভ্লাদিমিরের বাবা বছর দশেক আগে বিয়ে করেছিলেন এই মারিনাকে। এক দশকের ‘অসুখী’ দাম্পত্যের পর মারিনা বুঝতে পারেন, ভালবাসা ছিলো না এখানে। তিনি এও বুঝতে পারেন  যে তিনি আসলে ভালোবেসেছেন সৎ ছেলে ভ্লাদিমিরকে। তারপর বাবার অজান্তেই শুরু হয়ে যায় সৎ মা এবং ছেলের প্রেম। একে অপরের সঙ্গে শারীরিক-মানসিক সবদিক থেকেই জড়িয়ে যান। সেই প্রেম এবার গড়াল বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত।

নিজের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে গত সপ্তাহেই সৎ ছেলেকে বিয়ে করেছেন মারিনা। রেজিস্ট্রি অফিসে বিয়ে করার পর রীতিমতো বিয়ের পোশাকে সেজে রিসেপশনেরও আয়োজন করেছেন মারিনা এবং তার ১৫ বছরের ছোট ‘বর’। বেশ কিছু অতিথিও এসেছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মারিনা লিখছেন, আমি আমার সত্যিকারের জীবনসঙ্গীকে খুঁজে পেয়েছি। ইচ্ছে ছিল এ বছরের শুরুর দিকেই বিয়েটা সেরে ফেলব। কিন্তু লকডাউনের জন্য সেটা হলো না। গত সপ্তাহেই আমরা বিয়ে করেছি।

এই ঘটনার সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, মারিনা ও ভ্লাদিমিরের এই বিয়ে মারিনার আগের স্বামী তথা ভ্লাদিমিরের বাবাও মেনে নিয়েছেন।  

তবে সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না এই 'অন্যরকম' দম্পতির।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।

মন্তব্যসমূহ