হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইতালিতে একদিনে ৩৪৯ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৫ হাজার


মৃত্যু যেন পিছু ছাড়ছে না ইতালির। করোনার ভয়ানক আঘাতে দিনেদিনে দেশটি মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। দেশটিতে নতুন করে একদিনে করোনাভাইরাসে ৩৪৯ জন মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ২৩৩ জন।

ইতালিতে একদিনে মৃত্যুর হার ৮ ভাগ। সুস্থ হয়েছেন ৯ ভাগ। যদিও মৃত্যুর চেয়ে সুস্থতার হার বেশি তবুও দিনের পর দিন আতঙ্কে সময় পার করছে মানুষ। করোনার আঘাতে গুরুতর রোগীর সংখ্যা ১৮৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২৭৪৯ জন। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৩ হাজার ৭৩ জন।


এদিকে প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তি করোনা সমস্যা উত্তরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য- প্রায় ২৫ বিলিয়ন ইউরো দিয়ে চিকিৎসক, কর্মী, পরিবার ও ব্যবসার জন্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। ইউরোপে এখন পর্যন্ত রেকর্ডসংখ্যক ২ হাজার মৃত্যুর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি লম্বার্ডিয়া যা সর্বোচ্চ মৃত্যু। অন্যদিকে গতাকাল নতুন একটি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনায় নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান বার্তোলাসো মিলানো যান।

এ ছাড়াও ইতালি প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে, প্রতিটি নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সবাইকে আপাতত বাসা থেকে বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন অতি প্রয়োজন ছাড়া। এছাড়াও প্রশাসন মাইকিং করে সতর্ক করছেন বাসার বাইরে যেতে। অন্যথায় জেল জরিমানা করা হবে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের সূত্রমতে অনেক মানুষই খুব একটা সচেতন হয়নি। এখনো রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে। এ রকম মানুষের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি যাদের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ করে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

করোনাভাইরাসে প্রায় ৬ কোটি জনগণ গৃহবন্দি এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশিও রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে জরুরি অবস্থায় বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গোটা ইতালি এখন থমকে আছে। অর্থনৈতিক চরম ক্ষতিতে পড়েছে দেশটি। নতুন করে কোথাও কোনো পর্যটক দেখা যাচ্ছে না


মন্তব্যসমূহ