জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

ইতালিতে একদিনে ৩৪৯ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৫ হাজার


মৃত্যু যেন পিছু ছাড়ছে না ইতালির। করোনার ভয়ানক আঘাতে দিনেদিনে দেশটি মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। দেশটিতে নতুন করে একদিনে করোনাভাইরাসে ৩৪৯ জন মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ২৩৩ জন।

ইতালিতে একদিনে মৃত্যুর হার ৮ ভাগ। সুস্থ হয়েছেন ৯ ভাগ। যদিও মৃত্যুর চেয়ে সুস্থতার হার বেশি তবুও দিনের পর দিন আতঙ্কে সময় পার করছে মানুষ। করোনার আঘাতে গুরুতর রোগীর সংখ্যা ১৮৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২৭৪৯ জন। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৩ হাজার ৭৩ জন।


এদিকে প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তি করোনা সমস্যা উত্তরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য- প্রায় ২৫ বিলিয়ন ইউরো দিয়ে চিকিৎসক, কর্মী, পরিবার ও ব্যবসার জন্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। ইউরোপে এখন পর্যন্ত রেকর্ডসংখ্যক ২ হাজার মৃত্যুর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি লম্বার্ডিয়া যা সর্বোচ্চ মৃত্যু। অন্যদিকে গতাকাল নতুন একটি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনায় নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান বার্তোলাসো মিলানো যান।

এ ছাড়াও ইতালি প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে, প্রতিটি নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সবাইকে আপাতত বাসা থেকে বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন অতি প্রয়োজন ছাড়া। এছাড়াও প্রশাসন মাইকিং করে সতর্ক করছেন বাসার বাইরে যেতে। অন্যথায় জেল জরিমানা করা হবে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের সূত্রমতে অনেক মানুষই খুব একটা সচেতন হয়নি। এখনো রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে। এ রকম মানুষের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি যাদের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ করে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

করোনাভাইরাসে প্রায় ৬ কোটি জনগণ গৃহবন্দি এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশিও রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে জরুরি অবস্থায় বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গোটা ইতালি এখন থমকে আছে। অর্থনৈতিক চরম ক্ষতিতে পড়েছে দেশটি। নতুন করে কোথাও কোনো পর্যটক দেখা যাচ্ছে না


মন্তব্যসমূহ