জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

স্পেনে লাশের স্তূপ, একদিনেই মৃত ৯১৩




স্পেনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গেল একদিনে নতুন করে মারা গেছেন ৯১৩ জন। মৃতের সংখ্যা বাড়লেও গেল এক সপ্তাহে নতুন আক্রান্তের হার কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সোমবার (৩০ মার্চ) দেশটিতে এক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম মানুষের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তবে সংক্রমণের হার শূন্যে নামিয়ে আনতে হলে কেবল লকডাউন নয়, পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠেলে সাজানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সংস্থাটি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত স্পেনে প্রতিদিনই যেন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এত খারাপের মাঝেও সরকার প্রদত্ত একটি তথ্যে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। গেল এক সপ্তাহের মধ্যে সোমবার করোনায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে কম।


স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালভাদোর ইলা বলেন, আমি সবাইকে বলতে চাই, এক সপ্তাহ আগেও প্রতিদিনই আমাদের করোনায় আক্রান্তের হার বাড়ছিল। কিন্তু গেল বৃহস্পতিবার থেকে এ হার কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে নতুন করে আক্রান্তের হার ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল, সেটা এখন ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে এটিকে শূন্যে নামিয়ে আনতে হলে আমাদের এখনও আরও অনেক কিছু করতে হবে।

এ অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও মনে করছে, দেশটিতে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনা পরিস্থিতি।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডা. মাইকেল রায়ান বলেন, দেখুন এটা ঠিক স্পেন এবং ইতালিতে নতুন করে আক্রান্তের হার কমতে শুরু করেছে। এটা অবশ্যই ১৪ দিনের লকডাউনের কারণে। তবে কেবল লকডাউন করে এ হার শূন্যে নামানো যাবে না, ভাইরাসটিকে পুরোপুরি নির্মূল করতে চাইলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।

এর মধ্যেই করোনার প্রকোপ ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে স্পেনকে। দেশটির হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর চেয়ে শয্যা সংখ্যা কম থাকায়, বিভিন্ন শহরের পাঁচ তারকা হোটেলগুলোকে রূপান্তরিত করা হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতালে। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানী মাদ্রিদের রাস্তায় জনকামান দিয়ে জীবাণুনাশক মিশ্রিত পানি ছিটাতে দেখা গেছে কর্তৃপক্ষকে।

এদিকে করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ চীন থেকে স্পেনে আসতে শুরু করেছে। সোমবার বিশেষ বিমানে করে করোনার টেস্ট কিট, মাস্ক, পিপিইসহ অন্যান্য সামগ্রী রাজধানী মাদ্রিদে পৌঁছায়।

মন্তব্যসমূহ