হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ভয়ঙ্কর পঙ্গপালের ঝাঁক ধেয়ে আসছে ভারত ও ইসরায়েলে



জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বা ফাও'এর পঙ্গপাল পূর্বাভাস বিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা কেনেথ ক্রিসম্যান বলেছেন, ভয়ঙ্কর পঙ্গপালের বিশাল একটি ঝাঁক ভারত এবং ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে আসছে।

তিনি জানান, এ ঝাঁক  চলতি বছরের শেষ নাগাদ মিশরে পৌঁছাতে পারে। আর ইহুদিবাদী ইসরায়েলের পৌঁছাতে পারে মে মাসের দিকে। এছাড়া মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে ভারতে হানা দিতে পারে পঙ্গপালের এ ঝাঁক।

ইউরোপ পঙ্গপালের এ ঝাঁকের আওতার বাইরে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, মরুভূমি থেকে সৃষ্ট পঙ্গপালের ঝুঁকিতে নেই চীনও। অর্থাৎ চীন পঙ্গপালের প্রাকৃতিক পাল্লার বাইরেই রয়েছ। আবহাওয়া অত্যন্ত শীতল হওয়ায় পঙ্গপালের ঝাঁক হিমালয় পর্বতমালাও পার হতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
দিনে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম  পঙ্গপালকে পরিযায়ী বা যাযাবর অর্থাৎ মাইগ্রেটরি পতঙ্গকুলের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী হিসেবে গণ্য করা হয়। সাধারণ একটি ঝাঁকে ৮ কোটি পতঙ্গ থাকতে পারে। দিনে এ পঙ্গপাল ৩৫ হাজার মানুষের খাবার উদরস্থ করতে পারে।

২০০৪ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় আড়াইশ কোটি ডলার সমপরিমাণ শস্য নষ্ট করেছিল পঙ্গপাল। ১৯১৫ সালে সবচেয়ে পঙ্গপালের সবচেয়ে মারাত্মক হামলা হয়েছিল। প্রথম মহাযুদ্ধের সময়ে এ পঙ্গপালের এ হামলার শিকার হয়েছিল সিরিয়া এবং উসমানি সাম্রাজ্যের অন্যান্য অংশ। সূত্র : পার্সটুডে।

মন্তব্যসমূহ