হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মৃত্যুর মিছিলে এবার চীনকে ছাড়িয়ে গেল স্পেন





মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে মৃত্যুর দিক দিয়ে চীনকে ছাড়িয়ে গেল স্পেন। ইউরোপের এ দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনে এ পর্যন্ত ৩২৮৭ জন মারা গেছেন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ইনডেপেনডেন্ট বুধবার এক প্রতিবেদনে জানায়, স্পেনে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে একদিনে ৭৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালির পরই স্পেনে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ হাজার ৮০০ জনে।


স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্পেনের কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই দেশটির রাজধানীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী হাসপাতাল প্রস্তুত করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত মাদ্রিদের একটি হাসপাতালের ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে শত শত মানুষ বারান্দায়, ব্যালকনিতে কিংবা হাসপাতাল কক্ষের সামনে শুয়ে আছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই হাঁচি-কাশি দিচ্ছেন, অনেকেই অক্সিজেন নিচ্ছেন।


এ ছাড়া আরও শত শত মানুষকে হাসপাতালের ওয়েটিংরুমে অপেক্ষা করতে দেখা যায়, যারা চিকিৎসা নেয়ার জন্য মাদ্রিদের ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে স্পেন। হাসপাতাল কর্মীদের সংগঠন জেনারেল ইউনিয়ন অব ওয়ার্কারের নেতা জাভিয়ার গার্সিয়া স্থানীয় দৈনিক এল মুন্ডকে বলেন, হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডগুলোর ধারণক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে।

জনস হপকিংস ইউনিভার্সিটির বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ১৯ হাজারের বেশি। আর এতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ১০ হাজার জন।

এর মধ্যে চীনে নতুন করে ৪ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৮১ জনে।

মন্তব্যসমূহ