শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

মৃত্যুর মিছিলে এবার চীনকে ছাড়িয়ে গেল স্পেন





মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে মৃত্যুর দিক দিয়ে চীনকে ছাড়িয়ে গেল স্পেন। ইউরোপের এ দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনে এ পর্যন্ত ৩২৮৭ জন মারা গেছেন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ইনডেপেনডেন্ট বুধবার এক প্রতিবেদনে জানায়, স্পেনে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে একদিনে ৭৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালির পরই স্পেনে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ হাজার ৮০০ জনে।


স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্পেনের কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই দেশটির রাজধানীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী হাসপাতাল প্রস্তুত করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত মাদ্রিদের একটি হাসপাতালের ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে শত শত মানুষ বারান্দায়, ব্যালকনিতে কিংবা হাসপাতাল কক্ষের সামনে শুয়ে আছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই হাঁচি-কাশি দিচ্ছেন, অনেকেই অক্সিজেন নিচ্ছেন।


এ ছাড়া আরও শত শত মানুষকে হাসপাতালের ওয়েটিংরুমে অপেক্ষা করতে দেখা যায়, যারা চিকিৎসা নেয়ার জন্য মাদ্রিদের ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে স্পেন। হাসপাতাল কর্মীদের সংগঠন জেনারেল ইউনিয়ন অব ওয়ার্কারের নেতা জাভিয়ার গার্সিয়া স্থানীয় দৈনিক এল মুন্ডকে বলেন, হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডগুলোর ধারণক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে।

জনস হপকিংস ইউনিভার্সিটির বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ১৯ হাজারের বেশি। আর এতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ১০ হাজার জন।

এর মধ্যে চীনে নতুন করে ৪ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৮১ জনে।

মন্তব্যসমূহ