হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইতালিতে ট্রাকে ভরে লাশ নিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী!



সারিবদ্ধভাবে পড়ে আছে বহু লাশ। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে আনা হচ্ছে আরও লাশ। এসব লাশ ভস্মীভূত ও দাফন সম্পন্ন করতেই হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাশগুলো ট্রাকে ভরে আনছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এমনই পরিস্থিতি বিরাজ করছে ইতালিতে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে ইতালি। চীনে প্রথম এই ভাইরাস ধরা পড়লেও তারা করোনার চিকিৎসার জন্য স্থাপিত সর্বশেষ হাসপাতালটিও বন্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু ভাইরাসটি এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা বিশ্বে।

বর্তমানে ইতালি, স্পেন ও ইরানে চলছে ভয়াবহ পরিস্থিতি। এদিকে ভারতও ভয়ঙ্কর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গবেষণা সংস্থা। ভারতের ৩০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

ইতালির পরিস্থিতি তুলে ধরে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, দেশটিতে শুক্রবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ৩৫ জন।মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪০৫ জন। সুস্থ হয়েছেন মাত্র ৪৪৪০ জন। লম্বারডি অঞ্চলের বেরগামোতে মারা গেছে এক হাজার ৯৫৯ জন। তবে এই প্রদেশে মৃত্যুর সঠিক তথ্য এখনো নিশ্চিত নয়।

বুধবার ইতালিতে পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটে। এদিন রাতে বেরগামোর সমাধিক্ষেত্র থেকে ৬৫টি কফিন মোডেনা ও বোলোগনাতে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী। দাফনের জন্য কফিনগুলো এক অঞ্চল থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আরেক অঞ্চলে। প্রতিদিন ট্রাক ট্রাক লাশ সরাতে হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ