হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

কী আছে পাপিয়ার ভিডিও ক্লিপে?





পাপিয়া। আজকে সবচেয়ে আলোচিত নাম। রাজনীতির আড়ালে মাদক ও নারী বাণিজ্য করেন তিনি। রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোতে আয়োজন করতেন পার্টির। সাপ্লাই দিতেন নারী। এসকর্ট সার্ভিস। সুন্দরী তরুণীদের চাকরি দেয়ার নামে নরসিংদী থেকে ঢাকায় নিয়ে আসতেন। তারপর তাদের জিম্মি করে দিনের পর দিন করাতেন দেহ ব্যবসা।

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাাদক পাপিয়ার আমলনামা প্রকাশের পর সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাকে। তার কুকর্মের ভিডি ক্লিপ রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। কী আছে এসব ভিডিও ক্লিপে? তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী ও ঢাকার অনেক তরুণীদের চাকরির নামে তারকা হোটেলে ডেকে নিতেন পাপিয়া। পার্টি গার্ল হিসেবে ব্যবহার করতেন তাদের। তারপর টাকার প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের শয্যা সঙ্গী করতে বাধ্য করতেন।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, তারকা হোটেলে এসকর্ট সার্ভিস দিতে বাধ্য করা হতো তরুণীদের। তার আগে পার্টিতে মদ পান করিয়ে মাতাল করা হয়। মাতাল অবস্থায় হোটেলের রুমে তরুণীর কক্ষে ঢুকানো হয় খদ্দেরকে। এভাবেই নির্যাতনের শিকার হন তার সংগ্রহ করা প্রায় সকল তরুণী। পরবর্তীতে পাপিয়ার হাত থেকে মুক্তি চাইলেও বিপাকে পড়ে যান তারা। কারণ ইতিমধ্যে মদ্য পান ও পরবর্তী দৃশ্য গোপনে ধারণ করা হয়েছে ক্যামেরায়। কথামতো না চললে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এভাবেই জিম্মি করা হয় তরুণীদের। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, এভাবেই তরুণীদের ভিডিও ধারণ করে জিম্মি করতেন পাপিয়া।   
সুন্দরী তরুণীদের পাঠানো হতো প্রভাবশালীদের বাসায়, হোটেলের রুমে। এছাড়াও ভয়ঙ্কর অনেক অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ।
পাপিয়ার কাছ থেকে গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত অনেক ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে অনেক ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে তরুণীদের একান্ত মুহূর্তের দৃশ্য রয়েছে। কিছু ধনাঢ্যদেরও এসব ভিডিও ক্লিপ দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন পাপিয়া। কয়েক ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, রাতের পার্টির দৃশ্য। গর্জিয়াস মেকাপে সেজে পাপিয়া উপভোগ করছে পার্টি। মেয়েরা সেখানে নাচছে।
অভিযোগ রয়েছে, কোনো মেয়ে আপত্তি করলে ভিডিও ক্লিপ দিয়ে ব্ল্যাকমেইল ছাড়াও লাঠি দিয়ে পেটাতেন যুব মহিলী লীগের এই নেত্রী। লাঠি হাতে সোফায় বসে পার্টি উপভোগ করার ভিডিও পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। গত শনিবার সকালে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া  ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনসহ সহযোগীদের গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

মন্তব্যসমূহ