হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

উত্তপ্ত দিল্লিতে দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ








ব্যাপক উত্তেজনা দিল্লিজুড়ে। ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। এই অবস্থায় নজিরবিহীন নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। ইন্ডিয়া টুডে’তে প্রকাশিত খবর খবর মোতাবেক, উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি মন্ত্রকের তরফে জারি করে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক এলাকা সবথেকে বেশি আক্রান্ত। আর সেই কারণে এই সমস্ত এলাকাতে স্যুট এন্ড সাইটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ৬ হাজারেরও বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে র‍্যাফ এবং কেন্দ্রীয়বাহিনী। প্রসঙ্গত, জ্বলছে দিল্লি। ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত সংঘর্ষে ১০জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭০ জনেরও বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধেয় নতুন করে অশান্ত হয়ে ওঠে দিল্লির চাঁদবাগ এলাকা৷

একদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে আন্দোলন ও অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের দমন করতে ময়দানে অন্যপক্ষের দাপাদাপি৷ দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়৷ এলাকার একাধিক দোকানে চলে ভাঙচুর, আগুন৷ পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লির মৌজপুর, জাফরাবাদ, চাঁদবাগ, কারাওয়াল নগর এবং গাজিয়াবাদে ইতিমধ্যে কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন৷

মঙ্গলবার সন্ধেয় নতুন করে উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক এলাকা অশান্ত হয়ে ওঠে৷ চাঁদবাগে সিএএ ও এনআরসির প্রতিবাদে পথে নামেন মানুষ৷ অনেককে লোহার রড, লাঠি নিয়েও দাপাদাপি করতে দেখা যায়৷ উল্টোদিকে, আন্দোলন দমনের নামেও কয়েকশো লোক জড়ো হয় এলাকায়৷ মুহূর্তে সংঘর্ষ বেঁধে যায় দু’পক্ষের মধ্যে৷ এরই মধ্যে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়েও বিক্ষোভ শুরু করে কয়েকজন৷ পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গিয়ে বিক্ষোভ তুলে দেয়৷

মন্তব্যসমূহ