হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পবিত্র কাবা শরিফে স্থাপন হচ্ছে ৬২টি বৃহদাকার ছাতা



সউদী আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় হজ ও ওমরাহ পালনে আসা হজযাত্রীদের সুবিধায় পবিত্র কাবা শরিফের আঙিনায় স্থাপন করা হচ্ছে ৬২টি বৃহদাকার ছাতা। নির্মাণাধীন এসব ছাতার প্রতিটির নিচে অবস্থান করতে পারবেন আড়াই হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান। মক্কার বায়তুল্লাহ চত্বর থেকে প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতায় স্থাপন করা হচ্ছে ছাতাগুলো। রোদের তীব্রতা থেকে মুসল্লিদের সুরক্ষা দিতেই ছাতাগুলো নির্মিত হচ্ছে।

প্রচন্ড গরমে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের কষ্টের কথা চিন্তা করে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রয়াত বাদশাহ মালিক আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল-সাউদই এসব ছাতা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের সুবিধার্থে মদিনার মসজিদে নববির ভেতরের উন্মুক্ত স্থান এবং বাইরের আঙিনায় স্থাপিত ভাঁজ করা ছাতার আদলেই বৃহদাকার এসব ছাতা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে হারামাইন কর্তৃপক্ষ। একেকটি ছাতা দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ৫৩ মিটার।

সউদী আরব সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জাপানি প্রযুক্তিতে জেনারেল প্রেসিডেন্সি টু হলিমস্ক নামের একটি কোম্পানি ছাতাগুলো নির্মাণ করছে। এ কাজে ২৫ জন অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর নেতৃত্বে দক্ষ কারিগর ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নির্মাণকাজে অংশ নিয়েছেন।

প্রতিটি ছাতার ওজন হবে প্রায় ১৬ টন। হারাম শরিফের ওপরে আটটি এবং হারামের উত্তর পাশে ৫৪টি ছাতা বসানো হবে। সবকটি ছাতা মিলে প্রায় ১৯ হাজার ২০০ বর্গমিটার স্থানজুড়ে ছায়া দেবে। কাবা শরিফের ছাদও এমন মডেল ছাতার ছায়াতলে থাকবে।

ভাঁজ করে রাখা যাবে, এমন ছাতাগুলোতে থাকবে বড় ঘড়ি ও এইচডি স্ক্রিন, যাতে হজ পালনে আগতদের জন্য থাকবে দিকনির্দেশনা। ছাতাগুলোতে থাকবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। হাজি ও প্রার্থনাকারীদের বিশ্রামের জন্য ছাতার নিচে থাকবে ২২টি বেঞ্চ ও উচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আল-হারাম মসজিদের উত্তর পাশে স্থাপিত ছাতাগুলোর নিচে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন চার লাখ মুসল্লি। ছাতাগুলো খোলার সময় মনে হবে যেন বাগানে ফুল ফুটছে। এ ছাতা নির্মিত হলে বায়তুল্লাহ চত্বরসহ কাবা শরিফের হবে দৃষ্টিনন্দন ও অনিন্দ্যসুন্দর স্থাপনা।

মন্তব্যসমূহ