হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

এসএসসি পরীক্ষা ও ঢাকা সিটি নির্বাচন পেছালো



পূজার কারণে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পুননির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনের তারিখ ৩০শে জানুয়ারির বদলে পহেলা ফেব্রুয়ারি ২০২০ নির্ধারণ নির্ধারণ করা হয়েছে।

শনিবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৈঠকের পর এই তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।

তিনি জানান, পরীক্ষা বোর্ডের সঙ্গে আলাপের পর তারা এসএসসি পরীক্ষা দুইদিন পিছিয়ে দিতে রাজি হয়েছে। সে হিসাবে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে তেসরা ফেব্রুয়ারি। আর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন একদিন পিছিয়ে পহেলা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২২শে ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনের জন্য ৩০শে জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

পরবর্তীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আপত্তি তোলেন যে, ৩০ তারিখে সরস্বতী পূজা রয়েছে। সে সময়ে নির্বাচন হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজা উদযাপনে সমস্যা হবে। তারা আপত্তি তোলেন, যেহেতু নির্বাচনের সময় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভোট কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হলেও, সেটি খারিজ করে দেয়া হয়।

নির্বাচনের সময় পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন ও অনশন শুরু করে হিন্দু শিক্ষার্থীরা।

এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও শনিবার বিকালে জরুরি বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। সেখান থেকেই এই সিদ্ধান্ত এলো।

মন্তব্যসমূহ