হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

দুই স্কুলছাত্রকে বলাৎকার করলেন আ. লীগ নেতা



দুই স্কুলছাত্রকে অচেতন করে বলাৎকার করার অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শহিদুল ইসলাম (৪৮) ও তার দোকানের কর্মচারী মোহাম্মদ নওশাদ (২২)।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।  শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে তাদের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন এক ছাত্রের মা।

গ্রেফতার শেখ শহিদুল ইসলাম লালা কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ফতেহ আলী সিকদার পাড়া গ্রামের মৃত আবদু শুক্কুরের ছেলে। গ্রেফতার নওশাদ উপজেলার কৈয়ারবিল গ্রামের আবদুল মাবুদের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী এক ছাত্রকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সুস্থ রয়েছে ওই ছাত্র। আরেকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের সামনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুলের দোকান রয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় দশম শ্রেণির দুই ছাত্রকে দোকানে নিয়ে যান শহিদুল। সেখানে তাদের অচেতন করে বলাৎকার করেন শহিদুল ও দোকানের কর্মচারী নওশাদ। সেখান থেকে রাতে কৌশলে এক ছাত্র পালিয়ে যায়।

আরেক ছাত্রকে দোকানের ভেতরে আটকে রেখে চলে যান তারা। পালিয়ে আসা ছাত্রটি তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ঘটনাটি জানায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে দোকানের তালা ভেঙে অপর ছাত্রকে উদ্ধার করে তারা। পরে তাকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাতেই পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা মিলে উপজেলা গেটে এসে আসামি শহিদুলকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

কুতুবদিয়া থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে শহিদুল ও নওশাদকে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও শিশু বলাৎকারের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শুক্রবার আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

ওসি আরও বলেন, দুই ছাত্রের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। রোববার আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেবে তারা।


সময় টিভি অনলাইন


মন্তব্যসমূহ