হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ট্রাম্পের যুদ্ধ-ক্ষমতা কমাতে প্রতিনিধি পরিষদে ভোট



ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্প যেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে না পারেন সেজন্য তার যুদ্ধ-ক্ষমতা কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে বৃহস্পতিবার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ডেমোক্রেট সদস্যদের হাতে।

স্পিকার ন্যান্সি প্যালোসি এক বিবৃতিতে ভোটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বুধবার ইরাকের দু'টি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। তার আগে গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিদের্শেই সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়েছে। আর এর প্রতিশোধ নিতেই ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে তেহরান। জেনারেল সোলেইমানিতে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় ট্রাম্প যেন ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে না পারেন সেজন্য তার যুদ্ধ ক্ষমতা কমিয়ে আনতেই ভোটের আয়োজন করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে পেলোসি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে নিরাপদ রাখার জন্য ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব তোলা হবে। প্রতিনিধি পরিষদের নারী সদস্য এলিসা স্লটকিনের নেতৃত্বে এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনা ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সফল হওয়ার পর এই প্রথম এ ধরনের উত্তপ্ত যুদ্ধ-পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকাণ্ড আমাদের সেনাবাহিনী, কূটনীতিক এবং বেসামরিক লোকজনকে বিপদের মুখে ফেলেছে।

মন্তব্যসমূহ