হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

'আলবিদা' বলেই শেষ বিদায় নিল প্রেমিকজুটি হিমেল-তিন্নি



২৩ জুলাই সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে ফেসবুকে নিজের ওয়ালে দেওয়া স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন  'আলবিদা'। এই স্ট্যাটাসের পর থেকেই নিখোঁজ ছেলেটি। পরিবারের পক্ষ নিখোঁজের কারণে চলছিল খোঁজও। কিন্তু দিন গড়াতেই জানা গেল, শহরের একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীও নিখোঁজ। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে ততক্ষণে শহরজুড়ে জানাজানি হয়ে গেছে, সদ্য কৈশোর পেরনো দুই তরুণ তরুণী মূলত নিখোঁজ নয়, একসাথেই পালিয়েছে, প্রেমের কারণে। দুজন দুই ধর্মের হওয়ায় এ নিয়ে বিব্রত দুই পরিবার চেষ্টা করছিল তাদের খুঁজে বের করার। কিন্তু নিয়তির কী নির্মম পরিহাস। দুই দিন পর ২৫ জুলাই সকালেই জানা গেল, যুগলভাবেই আত্মহত্যা করেছে এই দুই তরুণ-তরুণী।

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কের বরগাং এলাকায় হ্রদের জলে দুই লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে প্রথমে মেয়েটির এবং পরে ছেলেটির লাশ উদ্ধার করে।

শহরের রিজার্ভবাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ছোটন দেওয়ানজির পুত্র প্রান্ত দেওয়ানজি হিমেল (১৮) এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক এলাকার শহীদ তালুকদারের কন্যা তাহফিমা খানম তিন্নি (১৮)। হিমেল ঢাকার ক্যামব্রিয়ান কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আর তিন্নি লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী। ছেলেটির বাসা রাঙামাটি শহরের রিজার্ভবাজার এলাকায় আর মেয়েটি রাঙামাটিতে এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে পড়াশোনা করছিল।

রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানিয়েছেন, এটি একটি ঘোষণা দিয়েই আত্মহত্যার ঘটনা। প্রেমের কারণেই এটি ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। দুজন দুই ধর্মের হওয়ায় প্রেমে সফলতার কোনো সম্ভাবনা নেই দেখেই তারা আবেগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এই বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হবে।

হিমেলের পিতা ছোটন দেওয়ানজি জানিয়েছেন, তারা দুজন প্রেমের কারণেই আত্মহত্যা করেছে বলেই মনে হচ্ছে। আমরা আসলে কিছুই জানতাম না। ভেবেছিলাম কোনো কারণে নিখোঁজ হয়েছে। কিন্তু কেন এটা করল বুঝতে পারছি না।

অন্যদিকে মেয়েটি তার যে স্বজনের বাসায় থেকে পড়াশোনা করত সেই নুরুল আলম মিয়া জানিয়েছেন, আমরা আসলে কিছুই বুঝতে পারছি না। সে আমার বাসায় থেকে পড়াশোনা করত। কিন্তু কিসের মধ্যে কি হলো কিছুই বুঝতে পারছি না।

এদিকে সদ্য কৈশোর পেরোনো দুই তরুণ-তরুণীর মৃত্যুতে শোকাহত যেন পুরো রাঙামাটি শহর। অনেকেই ফেসবুকে এই ঘটনায় বেদনা আর হতাশার স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ভালোবাসার এমন করুণ পরিণতিতে বিস্মিত যেন পুরো পার্বত্য শহর।

মন্তব্যসমূহ