হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

শ্রীলঙ্কায় জরুরী অবস্থা; চলছে কারফিউ

বৌদ্ধ-মুসলিম দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কায় জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে লংকান মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জাতিগত সংঘাত যারা উসকে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে ব্যবস্থা নিতেই এই পদক্ষেপ। আপাতত ১০ দিন এই জরুরী অবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সংঘাতের কেন্দ্রস্থল ক্যান্ডিতে সোমবার থেকেই বলবৎ রয়েছে কারফিউ।

বার্তা সংস্থা আল জাজিরা জানায়, সোমবার সকালে ক্যান্ডির টেনডেনিয়া শহরে ফেসবুকে ইভেন্ট খুলে জড়ো হয় কট্টরপন্থী বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। দুপুরের দিকে সবাই মিলে মুসলিমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয় তারা। একই সাথে হামলা চালানো হয় স্থানীয় একটি মসজিদে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই হামলার জন্য বৌদ্ধদের সংগঠন বোদু বালা সেনা বা বিবিএসকে দায়ী করছে।

কট্টরপন্থীদের অভিযোগ, মুসলিমরা বৌদ্ধদের জোরপূর্বক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করাচ্ছে। প্রাচীন অনেক বৌদ্ধ নিদর্শন ধ্বংসেরও অভিযোগ আনা হয় সংখ্যা লঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে। এমনকি দেশটিতে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া নিয়েও ক্ষুদ্ধ অনেক বৌদ্ধ।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতেও কট্টরপন্থী বৌদ্ধরা মুসলিমদের দোকান ও মসজিদে হানা দেয়। সে সময় ৫ জন আহত হয়েছিলো।

মন্তব্যসমূহ