হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আগুন পোহানো নিয়ে বিতণ্ডা, ২ নিহত

শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহানোকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডার জেরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় দুই যুবক একে-অপরকে ছুরি মেরে খুন করেছেন।

আজ রোববার বেলা ১১টায় সদর উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন সদর উপজেলা রোডের বাসিন্দা ডাবলু হোসেনের ছেলে শামীম (২৫) ও একই এলাকার তোফাজ্জ্বল মণ্ডলের ছেলে ও আমলা কলেজের ছাত্র সোহান মণ্ডল (২০)।

জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী  বলেন, দুজনের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। কী কারণে এবং কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আগুন পোহানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে শামীমদের বাড়ির পাশে খোলা জায়গায় সোহান কয়েকজন বন্ধু নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। শীত নিবারণের জন্য তাঁরা সেখানে আগুন জ্বালানোর উদ্যোগ নেন। এ জন্য বন্ধুদের সঙ্গে শামীমের বাড়ির পেছনে রাখা পরিত্যক্ত খড়ি আনতে যান সোহান।

খড়ি নিয়ে আসার সময় শামীমের মা দেখে ফেলেন এবং বাধা দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে শামীম এলে তাঁর সঙ্গেও বাগবিতণ্ডা হয়।

সোহান সেখান থেকে ফিরে নিজের বাড়ির সামনের গলিতে বন্ধুদের নিয়ে অবস্থান নেয়। শামীম বাড়ি থেকে সাইকেলে করে বের হলে তাঁর উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালানো হয়। তখন শামীমও ছুরি কেড়ে নিয়ে সোহনের ওপর হামলা চালান। স্থানীয়রা ছুটে এলে অন্যরা পালিয়ে যায়।

শামীম ও সোহানকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁরা মারা যান বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার পাল।

মন্তব্যসমূহ