বিবাহিত জীবনের দীর্ঘ নয় বছরেরও বেশি সময় পার করে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খান কেন তালাক দিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা অপু বিশ্বাসকে?
আজ সোমবার বিকেল থেকেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কী কারণে সন্তানের জন্মের এক বছর পেরোতেই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চাইছেন নায়ক, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরছেন সবাই। আর তা ছাড়া এ বিষয়ে স্পষ্ট করে গণমাধ্যমকে কিছু বলছেনও না শাকিব খান। শুধু জানিয়েছেন, তালাকনামায় তিনি সই করেছেন। ব্যস এটুকু বলেই আবার শ্যুটিংয়ে মন দিয়েছেন তিনি।
অপুকে তালাক দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাকিব খানের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম। আজ সন্ধ্যায় তিনি এনটিভিকে বলেন, ‘শাকিব খান তাঁর স্ত্রী অপু ইসলাম খান ওরফে অপু বিশ্বাসকে তিনি নিজে ডিভোর্স দিয়েছেন এবং ডিভোর্স দেওয়ার পরে যেটা মুসলিম পারিবারিক আইনের ৭-এর ১ ধারা মোতাবেক কনসার্ন পারসনকে জানানোর কথা যাকে ডিভোর্স দিল। অপু বিশ্বাসের ঢাকার ঠিকানায়, তাঁর পারমানেন্ট অ্যাড্রেস বগুড়ার ঠিকানায় এবং তিনি যেখানে বসবাস করেন কনসার্ন নর্থ সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়কে কপি দিয়েছেন, এটা আমার জানামতে।’
কী কারণে ভেঙে যাচ্ছে এত বছরের সম্পর্ক? জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কারণ হলো, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁর (অপু বিশ্বাস) কাছ থেকে প্রতিদান পান নাই এবং তাঁর (শাকিব খান) পছন্দের সীমার মধ্যে অপু বিশ্বাসকে অর্থাৎ অপু ইসলাম খানকে কখনোই তিনি আনতে পারেন নাই।’
আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম আরো জানান, গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাকিব খান তাঁর চেম্বারে আসেন। সেখানে তিনি অপুকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে তাঁর কাছে আইনগত সহায়তা চান।
এরপর শাকিব খানের পক্ষে আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলামের অফিস থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র কার্যালয়, অপু বিশ্বাসের ঢাকার নিকেতনের বাসা এবং বগুড়ার ঠিকানায় তালাকের নোটিশ পাঠানো হয়।
২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। এই দম্পতির এক বছর বয়সী এক ছেলেসন্তান রয়েছে।
এর আগে আজ সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনের কাছে অপুকে তালাক দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন শাকিব খান। তবে বারবার চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি অপু বিশ্বাস।
মন্তব্যসমূহ