হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পুরুষের অনুমতি ছাড়াই চাকরি করতে পারবেন সৌদি নারীরা

বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এখন থেকে সরকারি চাকরি, পড়ালেখা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে নারীদের পরিবারের পুরুষ অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন হবে না।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ নতুন একটি ফরমান জারি করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, পড়ালেখা, স্বাস্থ্যসেবা ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের আর পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে না।

সৌদি আরবের নারীদের ভ্রমণ, পড়ালেখা অথবা বিয়ের জন্য পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হতো। বাবা, স্বামী অথবা ছেলে এই অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

সৌদি আরবের নারী অধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, এটা নারীর অধিকার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা।

বিশ্বের অন্যতম এই রক্ষণশীল দেশটিতে নারীদের জীবনযাপন করতে হয় পুরুষ অভিভাবকের অধীনে। সেখানে নারীরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পায় না। এ ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো কাপড় পরতে হয় নারীদের।

জেদ্দাভিত্তিক ইসলামিক দেশগুলোর সংস্থা ওআইসির তথ্য ও যোগাযোগ পরিচালক মহা. অকিল আরব নিউজকে বলেন, ‘পুরুষ অভিভাবক ব্যবস্থা অ-ইসলামিক এবং নারীদের জন্য অবমাননাকর। কিছু মানুষ এই পুরুষ অভিভাবক ব্যবস্থার অপব্যবহার করে সুবিধা নেয়।’

এর আগে ২০১১ সালে সৌদির প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ দেশটির শূরা কাউন্সিলে সরকারি উপদেষ্টা হিসেবে নারীদের নিয়োগের অনুমতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই প্রবণতা শুরু হয়। সৌদি নারীরা এখন পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন। এ ছাড়া ছোটখাটো কাজ, আতিথেয়তার কাজ করতে পারেন। ২০১২ সালে সৌদি নারীরা প্রথমবারের মতো অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।এনটিভি

মন্তব্যসমূহ