হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ডে 'মুসলিম-বিদ্বেষী'র ছুরিকাঘাতে দু'জন নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড শহরে দৃশ্যত: মুসলিম দুই মহিলাকে গালাগালি করার সময় এক ব্যক্তিকে থামাতে গেলে তার ছুরিকাঘাতে দু'জন লোক নিহত হয়েছেন।
পুলিশ বলছে, গতকাল বিকেলে হলিউড ট্রানজিট স্টেশনে একটি ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
আক্রমণকারীর ছুরির আঘাতে একজন ঘটনাস্থলে এবং আরেকজন হাসপাতালে নেবার পর মারা যান। লোকটিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তবে তার আগে সে আরো একজন লোককে ছুরি মেরে আহত করে।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, লোকটি চিৎকার করে এমন সব কথা বলছিল যাকে 'ঘৃণাসূচক বক্তব্য' বলা যায়। তার এসব কথার লক্ষ্য ছিল দু'জন মহিলা - যাদের একজন কৃষ্ণাঙ্গ এবং অপরজনের মাথায় হিজাব পরা ছিল।
দুই মহিলার একজনের মা পরে জানিয়েছেন, আক্রমণকারী লোকটি তাদের উদ্দেশ্য করে বলছিল 'মুসলিমদের মরা উচিত - কারণ তারা বহু বছর ধরেই খ্রিস্টানদের হত্যা করে চলেছে।'
এসব কথার মধ্যে কয়েকজন লোক তার দিকে এগিয়ে যায় এবং তাকে থামাতে চেষ্টা করে। তখন লোকটি ছুরি বের করে আক্রমণ করে। এতে দুজন নিহত এবং একজন আহত হয়।
মহিলা দুজনের সাথে পুলিশ কথা বলার আগেই তারা ট্রেন থেকে নেমে যায়।
আক্রমণকারী ট্রেন থেকে বের হবার পর পুলিশ তাকে ছুরিসহ আটক করে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিল ফর আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স বলছে, সেদেশে ইসলামভীতি যেভাবে বাড়ছে - তার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা বলা উচিত।
কাউন্সিল বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতি ও কথাবার্তার কারণে এই প্রবণতা আরো জোরদার হচ্ছে। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ