শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ডে 'মুসলিম-বিদ্বেষী'র ছুরিকাঘাতে দু'জন নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড শহরে দৃশ্যত: মুসলিম দুই মহিলাকে গালাগালি করার সময় এক ব্যক্তিকে থামাতে গেলে তার ছুরিকাঘাতে দু'জন লোক নিহত হয়েছেন।
পুলিশ বলছে, গতকাল বিকেলে হলিউড ট্রানজিট স্টেশনে একটি ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
আক্রমণকারীর ছুরির আঘাতে একজন ঘটনাস্থলে এবং আরেকজন হাসপাতালে নেবার পর মারা যান। লোকটিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তবে তার আগে সে আরো একজন লোককে ছুরি মেরে আহত করে।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, লোকটি চিৎকার করে এমন সব কথা বলছিল যাকে 'ঘৃণাসূচক বক্তব্য' বলা যায়। তার এসব কথার লক্ষ্য ছিল দু'জন মহিলা - যাদের একজন কৃষ্ণাঙ্গ এবং অপরজনের মাথায় হিজাব পরা ছিল।
দুই মহিলার একজনের মা পরে জানিয়েছেন, আক্রমণকারী লোকটি তাদের উদ্দেশ্য করে বলছিল 'মুসলিমদের মরা উচিত - কারণ তারা বহু বছর ধরেই খ্রিস্টানদের হত্যা করে চলেছে।'
এসব কথার মধ্যে কয়েকজন লোক তার দিকে এগিয়ে যায় এবং তাকে থামাতে চেষ্টা করে। তখন লোকটি ছুরি বের করে আক্রমণ করে। এতে দুজন নিহত এবং একজন আহত হয়।
মহিলা দুজনের সাথে পুলিশ কথা বলার আগেই তারা ট্রেন থেকে নেমে যায়।
আক্রমণকারী ট্রেন থেকে বের হবার পর পুলিশ তাকে ছুরিসহ আটক করে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিল ফর আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স বলছে, সেদেশে ইসলামভীতি যেভাবে বাড়ছে - তার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা বলা উচিত।
কাউন্সিল বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতি ও কথাবার্তার কারণে এই প্রবণতা আরো জোরদার হচ্ছে। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ