জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ডে 'মুসলিম-বিদ্বেষী'র ছুরিকাঘাতে দু'জন নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড শহরে দৃশ্যত: মুসলিম দুই মহিলাকে গালাগালি করার সময় এক ব্যক্তিকে থামাতে গেলে তার ছুরিকাঘাতে দু'জন লোক নিহত হয়েছেন।
পুলিশ বলছে, গতকাল বিকেলে হলিউড ট্রানজিট স্টেশনে একটি ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
আক্রমণকারীর ছুরির আঘাতে একজন ঘটনাস্থলে এবং আরেকজন হাসপাতালে নেবার পর মারা যান। লোকটিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তবে তার আগে সে আরো একজন লোককে ছুরি মেরে আহত করে।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, লোকটি চিৎকার করে এমন সব কথা বলছিল যাকে 'ঘৃণাসূচক বক্তব্য' বলা যায়। তার এসব কথার লক্ষ্য ছিল দু'জন মহিলা - যাদের একজন কৃষ্ণাঙ্গ এবং অপরজনের মাথায় হিজাব পরা ছিল।
দুই মহিলার একজনের মা পরে জানিয়েছেন, আক্রমণকারী লোকটি তাদের উদ্দেশ্য করে বলছিল 'মুসলিমদের মরা উচিত - কারণ তারা বহু বছর ধরেই খ্রিস্টানদের হত্যা করে চলেছে।'
এসব কথার মধ্যে কয়েকজন লোক তার দিকে এগিয়ে যায় এবং তাকে থামাতে চেষ্টা করে। তখন লোকটি ছুরি বের করে আক্রমণ করে। এতে দুজন নিহত এবং একজন আহত হয়।
মহিলা দুজনের সাথে পুলিশ কথা বলার আগেই তারা ট্রেন থেকে নেমে যায়।
আক্রমণকারী ট্রেন থেকে বের হবার পর পুলিশ তাকে ছুরিসহ আটক করে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিল ফর আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স বলছে, সেদেশে ইসলামভীতি যেভাবে বাড়ছে - তার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা বলা উচিত।
কাউন্সিল বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতি ও কথাবার্তার কারণে এই প্রবণতা আরো জোরদার হচ্ছে। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ